দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ শহরে চলমান লকডাউনে (কঠোর বিধিনিষেধ) গণপরিবহন ছাড়া সড়কে সব ধরনের পরিবহন চলছে। গাড়ির চাপে কিছু কিছু সড়কে যানজটও সৃষ্টি হচ্ছে।
এছাড়া বিভিন্ন অজুহাতে রাস্তায় বের হচ্ছে মানুষ, যাদের বেশিরভাগই স্বাস্থ্যবিধি মানছে না।
শনিবার (১ মে )সকাল ১১ টায় চাষাড়া মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করার পরও কিছুক্ষণ পরপরই সড়কে গাড়ির জটলা লেগে যাচ্ছিল।ট্রাফিক পুলিশের তা নিয়ন্ত্রণ করতে খেতে হচ্ছে হিমশিম ।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। ওই দিন থেকেই গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে দিন যত যাচ্ছে, সড়কে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানবাহন। এর মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চলাচল বেশি করছে। ফলে যে উদ্দেশ্যে লকডাউন বা কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে, তার সুফল পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
যানজটের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ কনস্টেবল বলেন,চাষাড়া মোড় থেকে সাইনবোর্ড,পঞ্চবটি পর্যন্ত কোথাও কোনো সিগনাল নেই। ইউটার্ন নিয়ে যান চলাচল করে। কিন্তু চাষাড়া মোড়ে ট্রাফিক চাপ বেশি থাকে। এখন লকডাউনের মধ্যেও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে কষ্ট হচ্ছে।
সাইনবোর্ড মোড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করা ট্রাফিক পুলিশ এর পাশাপাশি মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহনের লাইসেন্স পরীক্ষা করছে। কিন্তু চালক বা যাত্রীদের মুভমেন্ট পাস বাছাই করতে দেখা যায়।
ট্রাফিক পুলিশ জানায়, এখন গণপরিবহন বাস ছাড়া সব ধরনের যানবাহনই চলছে। সড়কে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। তাই যারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করছেন তাদের কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। যেসব যানবাহনে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করছে, সেগুলোকে আটকানো হচ্ছে। মামলা-জরিমানা করা হচ্ছে।