দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: সোনারগাঁয়ে মা-বাবাকে মারধর করতে গিয়ে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে মাদকাসক্ত বড় ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। তিন ভাইয়ের ধস্তাধস্তিতে ছুরিকাঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। নিহত কিরণ (৩০) উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের শাহ জামালের ছেলে।
শুক্রবার (২৯ মে) দুপুরে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের জামপুর গুদারাঘাট গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) মো. বিল্লাল হোসেন জানান, সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কিরণ দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করতেন। এর আগে বিভিন্ন সময় মাদকাসক্ত হয়ে তিনি তার মা-বাবাকে মারধর করতেন। মাদকাসক্ত কিরণের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। শুক্রবার জুমার নামাজের পর কিরণ তার বাবা-মাকে মাদকের টাকার জন্য অকথ্য ভাষায় গালাগালি এবং মারধর করতে থাকে। তার মারধরে তার মায়ের হাত ভেঙে যায়।
একপর্যায়ে কিরণ ছুরি নিয়ে তার বাবাকে মারধর করতে গেলে তার ছোট ভাই মেহেদী হাসান (২৭) সৌরভ ওরফে গাব্বা (২৫) বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। এ সময় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে কিরণের ছুরি তার পেটে ঢুকে যায়।
আহতাবস্থায় কিরণকে আড়াই হাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। এরপর ঢামেকে নেয়ার পথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মারা যান। এই ঘটনার পর থেকে তার বাড়ির লোকজন পালিয়ে যান।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, নিহত কিরণ মাদকাসক্ত ও বিকৃত মস্তিষ্কের ছিলেন। বিভিন্ন সময় মাদকের টাকার জন্য মা-বাবাকে মারধর করতেন তিনি। শুক্রবার দুপুরে ছুরি নিয়ে মারধর করতে গেলে ভাইদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে ছুরিকাঘাতে আহত হন। পরে ঢাকা নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি