# এটা অশিক্ষিত মানুষের কথাঃ সাজনু
# টাকা হলেই পৃথিবীতে সব হয় নাঃ এ্যাড.নূর জাহান
# রফিউর রাব্বি হচ্ছে পথের রাস্তার মানুষঃ নিপু
# সে মানসিক বিকারগ্রস্ত। পাগলের প্রলাপ পারছেঃ সানি
# পাগল তো কত প্রলাপই পাড়েঃ এ্যাড.মোহসীন
দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের বহুল পরিচিত ওসমান পরিবারের এ কে এম সামসুজ্জোহা, বেগম নাগিনা জোহা ও এ কে এম নাসিম ওসমানের নামে নির্মিত এবং নির্মাণাধীন তিনটি স্থাপনার নামকরণের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করায় বিরুপ মন্তব্য করছেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক রফিউর রাব্বী।
টাকা খেয়ে ওসমান পরিবারের তিন সদস্যের নামে নামকরণ করা হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ জেলায় বা দেশে তাদের কি এমন অবদান যে তাদের নামে নামকরণ করা হয়েছে জানতে চেয়ে এমনটাই প্রশ্ম তুলেছিলেন মন্ত্রী ও আমলাদের উপর।
রফিউর রাব্বির এমন কুরুচিপূর্ণ ও বিরুপ মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূইয়া সাজনু,সোনারগাঁ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড.নূর জাহান,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু,সাফায়েত আলম সানি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড.মোহসীন মিয়া।
নারায়ণগঞ্জ শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূইয়া সাজনু বলেন, যে ব্যক্তির আমাদের লাল সবুজের পতাকার এবং মহান স্বাধীনতায় অবদান রেখেছেন তিনি হচ্ছেন সামসুজ্জোহা।তিনি একজন মরণোত্তর পুরষ্কার পেয়েছেন।নাগিনা জোহা হলেন ভাষা সৈনিক।১৯৭৫ সালে যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় তখন যে ব্যক্তি ঘরে নববধূ রেখে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার চেয়েছেন তিনি হলেন নাসিম ওসমান।
নারায়ণগঞ্জবাসী ও দেশের মানুষ জানে ওসমান পরিবারের কি অবদান।আর রফিউর রাব্বি জ্ঞান ছাড়া কথা বলেছেন। তিনি যে কথা বলেছেন সেটা অশিক্ষিত মানুষের কথা।জানি না তিনি কেমন শিক্ষিত। সারাদেশের মানুষ জানে ওসমান পরিবারের এই তিন সদস্যের অবদান।তার অবদান হিসেবেই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই তিনজনের নামে নামকরণ করেছেন।
সোনারগাঁ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড.নূর জাহান বলেন, ওসমান পরিবারের হিরামহলেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্ম এটা মনে রাখতে হবে।শেখ মুজিবুর রহমানের একজন ঘনিষ্ট সহচর ও বন্ধু ছিলেন সামসুজ্জোহা।আর নাগিনা জোহা ছিলেন একজন ভাষা সৈনিক।নাসিম ভাইয়ের কথা কি বলবো।তাকে আমি খুব কাছ থেকেই দেখেছি।তার মত মানুষ হয় না।নাসিম ভাইয়ের মত ২য় আরেক জন নারায়ণগঞ্জে আসবে না।
যিনি ১৯৭৫ সালে ঘরে নতুন বউ রেখে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের জন্য গিয়েছেন।আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোন অশিক্ষিত নারী না।
তিনি অবদানের মূল্যায়ন দিতে জানেন।যে নিন্ম আয়ের দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তর করেছে সে জানে কাকে কিভাবে মূল্যায়ন করতে হয়।টাকা হলেই পৃথিবীতে সব হয় না।টাকার প্রয়োজন আছে এটা জানি কিন্তু তাই বলে সব কিছু টাকা দিয়ে কিনা যায় না।
ওসমান পরিবার ছাড়া নারায়ণগঞ্জে আরো কোটিপতি আছে পারলে তারা গিয়ে টাকা দিয়ে কোন কিছুর নামকরণ করুক।রফিউর রাব্বি যে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে জ্ঞানহীনের পরিচয় দিয়েছে তার নিন্দা জানাই।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু বলেন,পথের মানুষ কি বললো তা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না। রফিউর রাব্বি হচ্ছে পথের রাস্তার মানুষ।সে কত কিছুই তো বলবে তা নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।
সাফায়েত আলম সানি বলেন,সামসুজ্জোহা কি অবদান রেখেছে তা নারায়ণগঞ্জবাসী জানে।সামসুজ্জোহা ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে প্রথম বেতার ভাষণ প্রদান করেন এবং দেশের সর্বোচ্চ আদালতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ও তিনি গণপরিষদের সদস্য ছিলেন আমার বাবার মুখে শুনেছি।
তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের আস্তাভাজন বন্ধু ছিলেন।তিনি ভারতের শরণার্থীদের ত্রান দিয়ে সাহায্য করেছেন।সামসুজ্জোহা সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্ম গ্রহন করেছেন।নাগিনা জোহা একজন ভাষা সৈনিক।সামসুজ্জোহা,
নাগিনা জোহা ও নাসিম ওসমান কি অবদান রেখেছেন তা নারায়ণগঞ্জ তথা দেশবাসী জানে।রফিউর রাব্বির মত একজন উন্মাদকে নিয়ে ফলাও করে নিউজ করার কিছু নেই আমি মনে করি।তার আগে তার কাছে আমার প্রশ্ম রফিউর রাব্বির কি অবদান আছে নারায়ণগঞ্জে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা ছাড়া? সে মানসিক বিকারগ্রস্ত। পাগলের প্রলাপ পারছে। প্রশাসনের এখনোই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড.মোহসীন মিয়া বলেন, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক সাইনবোর্ড থেকে চাষাঢ়া আঞ্চলিক মহাসড়কের নাম একেএম সামসুজ্জোহা সড়ক, খানপুর থেকে আদমজী ইপিজেড সড়কের নাম ভাষা সৈনিক বেগম
নাগিনা জোহা সড়ক ও তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান সেতু নামকরণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা’কে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি ও নারায়ণগঞ্জ বাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাই।কে কি বললো তা নিয়ে কথা বলতে চাই না।পাগল তো কত প্রলাপই পাড়ে।
স্থাপনাগুলোর মধ্যে মদনপুর-মদনগঞ্জ-সৈয়দপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে বন্দর উপজেলায় নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর নামকরণ হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম নাসিম ওসমানের নামে।তিনি জাতীয় পাটির্র সাবেক সংসদ সদস্য এবং সেই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি এ কে এম শামীম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জাতীয় পার্টির এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানের ভাই।
তাদের বাবা স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত (মরণোত্তর) ভাষা সৈনিক এ কে এম সামসুজ্জোহার নামে নামকরণ হয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সাইনবোর্ড-নারায়ণগঞ্জ মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে চাষাড়া পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কটি।আর এ কে এম সামসুজ্জোহা স্ত্রী ভাষা সৈনিক বেগম নাগিনা জোহার নামে নামকরণ হয়েছে খানপুর হয়ে হাজীগঞ্জ গোদনাইল হয়ে ইপিজেড পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কটি।
উল্লেখ্য যে গত ৮ জুন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের প্রদীপ প্রোজ্জলন অনুষ্ঠানে ওসমান পরিবারের তিন সদস্যের নামে সেতু ও সড়কের নামকরণ করায় প্রশ্ন তুলে রফিউর রাব্বি বলেন,সরকারের কতিপয় মন্ত্রী ও আমলারা টাকা খেয়ে এই নারায়ণগঞ্জের রাস্তা ও বিভিন্ন স্থাপনা বিভিন্ন জনের নামে নামকরণ করেছে।আমরা এই মন্ত্রী ও আমলাদের প্রশ্ন করতে চাই দয়া করে আমাদের জানান যাদের নামে নামকরণ করলেন তাদের এই নারায়ণগঞ্জে বা দেশে অবদান কী?লাশ ফেলা,খুন খারাপি করা এইগুলা যোগ্যতার মধ্যে পড়ে কিনা এ বিষয়গুলো আমাদের জানান।নারায়ণগঞ্জের মানুষ হিসেবে এই বিষয়গুলো জানার আমাদের অধিকার রয়েছে।সরকার এই নামকরণ নিয়ে যে যে ঘটনা দেশে ঘটিয়ে চলেছে বিশ্বে এমন নির্লজ্জ ঘটনার নজির খুঁজে পাওয়া যাবে না।