দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ খাঁটি তালের রস জ্বাল দিয়ে একটি পাত্রে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় চট দিয়ে ঢেকে রাখার কথা বদ্ধ ঘরে। সপ্তাহখানেক পর ওপর ও নিচের অংশ শুকিয়ে দানা আকারে তাল মিছরি তৈরি হওয়ার নিয়ম। এটি এখন বই-পুস্তকেই সীমাবদ্ধ। বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কুতুবপুরে লাখি বাজার খালপাড় এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পোকামাকড় ও ময়লা আবর্জনার ভিতরেই পানি ও চিনি দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে আবেদ আলী মিয়া নামের ১ নং স্পেশাল তাল মিছরি।
বিএসটিআই ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই তৈরি এসব মিছরি ছড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট-বাজারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়,তাল মিছরি হার্নিয়, হার্ডের সমস্যা, সর্দি কাশির উপশম, চোখের দৃষ্টি বাড়ানো, কিডনি স্টোন, পেটে ব্যথা, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মুখের আলসার, কন্সটিপেশন, গ্লো-কোজ নিয়ন্ত্রণ, ডায়রিয়া, শিশুদের ব্রেন ডেভেলপমেন্ট, আর্থারাইটিস, শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সমস্যা, স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য ও তালমিছরি খুব উপকারী।
সরেজমিন দেখা গেছে, কুতুবপুরের লাখি বাজার খালপাড় সংলগ্ন মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় দুটি কক্ষ ভাড়া নেয় জমির আলীর । জমির আলীর দীর্ঘদিন ধরে বিএসটিআই অনুমোদন ছাড়াই ভেজাল মিছরি উৎপাদন করে বাজারজাত করছে। প্যকেটে মিছরি তৈরীতে চিনি, পানি ও দুধের কথা উল্লেখ করলেও দুধ ছাড়াই পানি আর চিনি দিয়ে তৈরী হয় ‘অরজিনাল আবেদ আলী ১ নং স্পেশাল তাল মিছরি।’
ছোট প্যাকেট ৫০০ গ্রাম ও কেজি বড় ১০ কেজি করে প্রতিটি প্যাকেট তৈরী করা হয়। মান নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই ক্রেতা ও বিক্রেতাদের আগ্রহ দৃষ্টি আকর্ষণ করতে প্যাকেটের মোড়কে মেয়াদোত্তীর্ণ সীল ব্যবহার করছে। পাইকারীভাবে কেজি ৬০-৬৫ টাকা দরে কিনে দোকানীরা ৭০-৭৫ টাকা দরে বিক্রি করে।
কারখানার মালিক জমির আলীর দাবী, অনুমোদন নিয়েই মিছরি তৈরী করা হচ্ছে। চিনি ও পানি দিয়ে তিনি নিজেই মিছরি তৈরীর কথা স্বীকার করেন। তবে কারখানার কোনধরনের কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি।
তিনি আরো বলেন এরচেয়ে পরিষ্কার করা সম্ভব না এভাবে সবাই চিনি দিয়ে মিছরি তৈরি করে পরিবেশের কথা বলছেন চিনির কাজ পোকামাকড় থাকবেই পরিবেশ আর সুন্দর হবে না ছবি তুলে নিয়ে যান সুন্দর করে পত্রিকায় ছাপিয়ে দেন আমাকে সবাই চিনেন কত মেজেস্টেট আসলো আর গেল আর এখন সাংবাদিক।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও আরিফা জহুরা বলেন, এ বিষয় আমার জানা নেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনুমোদন ছাড়া মিছরি তৈরি করে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।