দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ র্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হওয়া কথিত ছাত্রলীগ নেতা শামীমের সরাসরি মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার প্রমাণ হিসেবে কল রেকর্ড পাওয়া গিয়েছে।
নিজেকে কখনো ছাত্রলীগ নেতা আবার কখনো যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দেওয়া কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী শরিফ হোসেন শামীম দীর্ঘদিন যাবৎ ফতুল্লার তক্কার মাঠ এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। এর আগেও তার বাসা থেকে গাজা গাছ উদ্ধার করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
র্যাবের মাধ্যমে উদ্ধারকৃত কল রেকর্ডে স্পষ্ট শোনা যায় শরিফ হোসেন শামীম মাদকের ডিলারের কাছে ইয়াবা ও গাজা সহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য আদান-প্রদানসহ টাকা পয়সা লেনদেনের ব্যাপারে আলোচনা করছে। উল্লেখ্য যে গত ১৪-ই জুন ৭.৩০ ঘটিকায় লিংক রোডে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে শরিফ হোসেন শামীমকে তার বাহিনী এবং অস্ত্রসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে র্যাব।
পরবর্তীতে তার মোবাইল ফোন তদন্তকালে এই কল রেকর্ড উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যেখানে মাদকের ডিলারদের সাথে কথোপকথনের মাধ্যমে তার মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। এর কিছু দিন পূর্বে মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল জহির।
জামিনে মুক্তি পেয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর বােরান উদ্দিন পীরেরগত মাসে জালকুড়ি এলাকার রবিন-ইকবালের খামারে মাছ লুটের সময় শামীমের সহযােগী জহির, হলুদ, আল আমিন,ইব্রাহিম হাতে নাতে আটক হয়।
একটি পরিতেক্ত দরগায় ২ গামেন্টর্সের কর্মীকে ধরে এনে মোবাইল রেখে দেয় এই গ্যাংয়ের সদস্যরা। ঘটনা জানাজানি হলে মোবাইল ফেরত দেওয়ার দায়িত্ব নেন শামীম নিজে। সর্বশেষ ২১ সেপ্টেম্বর রাতে হাতেদেশিয় অস্ত্র নিয়ে বরফকল এলাকায় শোডাউন করে জহির গ্যাংয়ের ৪০ থেকে ৫০ জন সদস্য।
গত ৩ দিনের অনুসন্ধান বলছে, এ ছাড়া ময়লার গাড়ি চালক বিল্লালের মা’ নামে পরিচিত গাজা এলাকাটিতে শামীমের সেল্টারে মাদক ব্যবসা করছে সুজন, আল-আমিন,কাইল্লা রাসেদ, ইয়াবা জহির ও গাজা ইব্রাহিম। বিক্রেতা নারীর কাছ থেকেও মাসে ৪ বারে নিচ্ছে ৬-৮ হাজার টাকা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শামীমের এক প্রাক্তন সহযোগী জানান, সাত বিগা পুকুর সংলগ্ন শামীমের বাবা।
এমানের গরুর খামারের পরিতেক্ত রুমে লাভলু, ফল ব্যবসায়ী শাহ আলম, আবু নছর ও রানার সহযোগীতায় মাসে ৮ থেকে ১০ দিন জুয়ার আসর বসান। সেখান থেকেও আসে তার মােটা অঙ্কের টাকা। এর আগে ওই খামার থেকেই গাজা গাছসহ গ্রেপ্তার হয় শামীমের চাচা।
এছাড়া জোড়া মসজিদ, ব্যাংকলনী, পিলকুনী, পেয়ারাবাগান, তক্কারমাঠ, পিটিআই ভবন, বরাফকল,রোড এলাকায় ছিনতাইকারী কিশাের গ্যাং প্রধান ইয়াবা ব্যবসায়ী পার্থ,লাভলু জহির, ইব্রাহিম, অয়ন, হলিদ, তারেক, বরিশাইল্লা আল আমিনসহ বেশ কিছু কিশাের ও তরুণকে শেল্টারদেন এই শামীম।