দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ সহ বন্দরে দিন দিন বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। আর প্রতিনিয়তই ঘটছে প্রাণহানির ঘটনা। আর এসবের মূল কারণ হচ্ছে বেপরোয়া মোটরসাইকেল।
সড়কে প্রায় ৩০ ভাগ দুর্ঘটনাই মোটরসাইকেল আরোহীর ঘন ঘন লেন পরিবর্তন, নিয়ম না জানা বা জানলে না মানা, যানজট এড়িয়ে তাড়াতাড়ি গন্তব্যে পৌঁছার কারণে ঘটছে।
এদিকে, বন্দরের প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে মোটরসাইকেল চালকদের কারণে পথচারী ও যাত্রীরা বিরক্ত। বেশির ভাগ মোটরসাইকেল চালকই যুবক, অন্য যানবাহনকে অতিক্রম যাওয়ার চেষ্টা করে সব সময়। সে ক্ষেত্রে তারা নিয়ম না মেনে উল্টোপথ দিয়েও বাহনটি চালিয়ে যায়। বাজাতে থাকে হর্ন।
বন্দরের প্রতিটি এলাকার ছোট ছোট রাস্তায় এখন মোটরসাইকেলের কারণে হাঁটাই যায় না। বেপরোয়া গতিতে চলাচলকারি এসব মোটরসাইকেল চালকরা কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা করে না। তারপর পাড়া-মহল্লায় মোটরসাইকেলের সংখ্যা না কমে দিন দিন বাড়ছেই।
তাছাড়াও দুর্ঘটনার কারণে মোটরসাইকেল এখন অনেক পরিবারের কাছে ‘প্রাণঘাতি ভয়ঙ্কর যান’ হিসেবে পরিচিত। মোটরসাইকেলের কারণে অনেক পরিবার থেকে হারিয়ে গেছে সম্ভাবনাময় সতেজ প্রাণ।
এছাড়া সম্প্রতি মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে। এতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা পরিমান বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, এখনই বিকল্প ব্যবস্থা না নেয়া হলে সামনে আরো ভয়াবহ অবস্থা দেখা দিবে। তবে মোটরসাইকেল নিয়ে আলাদা পরিকল্পনার কথা বলছে ট্রাফিক পুলিশ।
এ ব্যাপরে এখনই অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে মোটরসাইকেল আরোহী এসব যুবকরা। এখনই তাদের লাগাম টেনে না ধরলে বাবা কাঁধে ছেলের লাশ বহন করতে দেখা যাবে।