দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, উপজেলার খর্ণিয়া প্রাইমারী স্কুলের পাশে পশুর হাট বসিয়েছে। বৈশি^ক মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দিশেহারা হওয়ার মত অবস্থায় ডুমুরিয়ার মানুষ।
অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের এই বিস্তার রোধ কল্পে সরকারী ভাবে কঠোর লগডাউন ঘোষনা করেছে।সেই সকল সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে এক শ্রেণীর প্রভাবশালী লোকেরা শুরু করেছে হাটের মাধ্যমে গরু কেনাবেচা।
উল্লেখ্য উপজেলার ভিতর সবচেয়ে বড় পশুর হাট খর্ণিয়া।যেখানে পশর্^বর্তী কয়েকটি জেলা থেকে আসে ক্রেতা বিক্রেতা। যশোর,খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার মিলনস্থান এই ডুমুরিয়া উপজেলা । যে কারনে এই উপজেলা থেকে ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনাও খুব বেশি। এমনকি কোন লোকের মুখে মাক্স পর্যন্ত ছিলনা ।
স্থানীয়রা জানান এই গ্রামের ভিতর অবস্থান করে পশু ক্রেতা ওবিক্রেতারা। খুব সকাল থেকে এই বিলের ভিতর শুরু করে কেনা বেচা। হাট মালিকের লোকেরা বিভিন্ন বাগানের ভিতর থেকে ইজারা আদায় করে। প্রশাসনের উপস্থিতি টেরপেলে গ্রামের ভিতর লুকিয়ে থাকে। প্রশাসন চলে গেলে আবার শুরু করে কেনা বেচা।
বৃহস্পতিবার ( ৮ই জুলাই) গেলে দেখা যায় ধুমধাম করে চলছে পশু কেনাবেচা। অনেককে দেখা গেছে ইজারার টাকা গ্রহণ করে মেমো ভাইচার দিতে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইজারার টাকা আদায়কারী বলেন হাট মালিকেদের পক্ষ থেকে গ্রামের ভিতর হাট বসানো হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পশুর হাট বন্ধ ঘোষনা করায় বিলের ভিতর বসানো হয়েছে।
বেলা ১২.৩০ টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিরুজ্জামান সেনা সদস্য ও পুলিশদের সাথে নিয়ে পশুর হাটে উপস্থিত হয়।
ততক্ষনে পশু কেনা বেচা করে সকলে স্থান ত্যাগ করে।হাটের ইজারাদার মোঃ শওকত হোসেন হাট বসানোর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,আমি হাট বসায়নি এমনকি কারা বসিয়েছে সেটাও আমার জানা নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি হাট বসাবো না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছি।
এ বিষয় নিয়ে কথা বললে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আবদুল ওয়াদুদ বলেন, যেহেতু করোনার হট স্পট এখন খুলনা এখানকার সকল প্রকার পশুর হাট বন্ধ আমি বিষয়টি জানার সাথে সাথে আমার সহকারী কমিশনারকে পাঠিয়েছি সে যেয়ে হাট ভেঙ্গে লোকজনকে সরিয়ে দিয়ে আসছে। তবে যারা সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে এটা বসিয়েছে তাদের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।