দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ রুপগঞ্জের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড কারখানায় আগুনে পুড়ে ৫২ জন শ্রমিক নিহত প্রতিবাদে,নিহত শ্রমিকদের প্রতি পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ,আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা ও পূনবার্সন নিশ্চিত এবং দোষীদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধনে বাঁধা প্রদান ও মানববন্ধনকারীদের উপর পুলিশি হামলা অভিযোগ করে মানববন্ধনকারীরা।
এছাড়া সংবাদ সংগ্রহ করতে আসা সাংবাদিকের মোবাইল ও আইডি কার্ড জব্দ করার চেষ্টা করে পুলিশ।
শনিবার(১০ জুলাই)বিকেল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার আয়োজনে বিক্ষোভ সভায় এই হামলাটি চালানো হয় বলে দাবী করে সংগঠনের জেলা আহবায়ক তরিকুল সুজন।
সরকারের দেওয়া কঠোর লকডাউনে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে রুপগঞ্জের অগ্নিকান্ডে নিহত ও আহতদের অধিকার আদায়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার ব্যানারে দাঁড়ালে পুলিশ প্রথম বাঁধা দেয়।পরে পুলিশকে অনুরোধ করে কিছু সময় চেয়ে নেন জেলার আহবায়ক তরিকুল সুজন।মানববন্ধনের মাঝখানে তরিকুল সুজনকে ডেকে সদর ওসি(অপরাধ)কাজী মাসুদ ডেকে নেন।পরে তরিকুল সুজন এসে বক্তব্য দেওয়ার সময় ব্যানার টেনে নেন ওসি কাজী মাসুদ ও পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।মানববন্ধনে আগত কয়েকজনকে পুলিশ লাঠি নিয়ে দৌঁড়ানি দেন।
ব্যানার নিয়ে টানাটানির সময় তরিকুল সুজনের পড়নে পাঞ্জাবি ছেড়ে যায় এবং তার পায়ে পুলিশ লাথি মারার অভিযোগ তুলেন। অন্যদিকে সংবাদ সংগ্রহ করতে আসা দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকার সাংবাদিক শাহজাহান কবির দোলনের মোবাইল পুলিশ নিয়ে নেয় এবং সাংবাদিক পরিচয় দেবার পরও দোলনের সাথে থাকা পত্রিকার আইডি কার্ডটি সিস করে নিয়ে যেতে চায়।পরে সাংবাদিকদের জেরার মুখে পড়ে মোবাইল ও আইডি কার্ড ফেরত দেয় পুলিশ।
তরীকুল সুজন জানায়,আমরা আজকে যেটার জন্য প্রতিবাদ করতে এসেছি রুপগঞ্জের ৫২জন শ্রমিককে আগুনে পুড়ে তারা হত্যা করলো সেটার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে চাইলাম কিন্তু এইখানকার প্রশাসন পুলিশ বাহিনী আমাদের তা ব্যক্ত করতে দিলেন না।
তরিকুল সুজন অভিযোগ করেন, পুলিশ বার বার লাথি দিয়ে পায়ে আঘাত করার চেষ্টা করেছিলো আমাকে যাতে মাটিতে ফেলে দেওয়া যায়।তাছাড়াও আমরা দেখলাম যে সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করতে এসেছে তার মোবাইল নিয়ে পকেটে ডুকিয়ে ফেলেছে এবং সে সাংবাদিক পরিচয় দেবার পরও তার আইডি কার্ড সিস করার চেষ্টা করেছিলো।
আমরা মনে করি বাংলাদেশে একটি নূন্যতম গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নাই।বর্তমান সরকার পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তার সার্বভৌমত্ব যে ক্ষমতাকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে।এবং এই ক্ষমতা রক্ষা করাও অসম্ভব। আমরা জানাতে চাই যে ৫২ জন শ্রমিক আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন তারা কেউ না তারা আমাদের ভাই, আমাদের স্বজন।আমরা জানি প্রত্যেকেই শিশু শ্রমিক।তাদের বয়স ১২,১৩,১৪,১৫ এটা আসলে স্বাভাবিক বয়সই হয়নি।
তিনি আরো বলেন,আমরা সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সেখানে ছিলাম।আমাদের প্রতিনিধি দল সেখানে ঘুরে ঘুরে আমরা দেখেছি,মানুষের কথা শুনেছি।এই সরকার জনগনের সাথে যা করছে তা নির্ঘাত অর্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে বেইমানি, জনগনের সাথে প্রতারণা এবং এই ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা সম্ভব না।আজকের এই ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই এবং আমরা মনে করি এর জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত।