দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মরহদেহ শনাক্তের জন্য স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা দিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে যেতে হবে।
শুক্রবার (৯ জুলাই) নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামীম বেপারী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ঢাকা মেডিকেলের মর্গে সামনে অবস্থানকালে তিনি বলেন, ‘মৃতদেহগুলো এমনভাবে পুড়ে গেছে যে পরিচয় শনাক্ত জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে। আমাদের পক্ষ থেকে স্বজনদের ডিএনএ নমুনা দেয়ার জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে আসতে বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে ডিএনএর নমুনা রাখা বা মরদেহের পরিচয় শনাক্ত কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ফলে এখান (ঢামেক) থেকেই মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হবে। স্বজনদের ঢাকা মেডিকেলের মর্গে এসে ডিএনএ নমুনা দিতে হবে।’
এর আগে শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে ৫টি অ্যাম্বুলেন্সে করে কারখানার ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করা মরদেহগুলো ঢাকা মেডিকেলের মর্গে নিয়ে আসা হয়। প্যাকেটে ভরা মৃতদেহগুলো এক এক করে বের করে মর্গে হিমঘরে নিয়ে যাওয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ধ্বংসস্তুপ থেকে ৫৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে। আমাদের প্রথম কাজটি হবে মরদেহগুলোর যথাযথ প্রক্রিয়ায় ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করা। সবগুলো মরদেহ আগুনে পুড়ে ঝলসে গেছে। প্রয়োজনে তাদের মরদেহ ফ্রিজিং করা হবে। আত্মীয়দের সঙ্গে ডিএনএ স্যাম্পল মিলিয়ে পরবর্তীতে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে নারায়ণগঞ্জে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন ৫৫ মৃতদেহ উদ্ধার তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আমরা ৫৫ জনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’