দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বন্দরে ঢাকা টু চট্রগ্রাম মহাসড়কে এক সড়ক দূর্ঘটনায় দীর্ঘ ১২ দিন আইসিউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জালড়ে অবশেষে ঢাকা থেকে রংপুর নেয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সে মারা গেলেন শফিকুল ইসলাম (৩৫) নামে এক র্গামেন্টস শ্রমিক । গত সোমবার সকালে গাইবান্ধা পৌঁছালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত শ্রমিক শফিকুল ইসলাম (৩৫) বন্দরের কামতাল এলাকায় অবস্থিত টোটাল ফ্যাশন গামের্ন্টের কাটিং সেকশনে কর্মরত ছিল বলে জানা গেছে। শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনার সংবাদ পেয়ে উত্তেজিত শ্রমিকরা প্রায় ৪ ঘন্টা ঢাকা টু চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
সংবাদ পেয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
নিহত শ্রমিকের ভাই আজিজুল গনমাধ্যমকে জানান, গত ২৪ জুন দুপুরে ভাড়া বাসা থেকে খাবার খেয়ে আমার ভাই শফিকুল ইসলাম ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা দিয়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের ওপর দিয়ে উল্টো পথে ডিউটিতে যাওয়ার সময় প্লানা পেট্রোল পাম্পের সামনে পৌঁছালে ওই সময় ঢাকা থেকে চট্রগ্রামগামী দ্রুতগামী একটি কভার্ডভ্যান ধাক্কা দেয়।
পরে ঘটনাস্থলেই আমার ভাইসহ ৫ শ্রমিক মারাত্মক ভাবে আহত হয়। তিনি আরো জানান, সড়ক র্দূঘটনায় আমার ভাই শফিকুল ইসলামের একটি হাত ছিঁড়ে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং মাথা থেঁতলে হার ভেঙ্গে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ১২ দিন আইসিউতে রেখে দেশের বাড়ি রংপুর চিকিৎসার জন্য সোমবার সকালে অ্যাম্বুলেন্স, যোগে ঢাকা থেকে রংপুর নেয়ার পথে গাইবান্ধা মহাসড়কে পৌঁছালে অ্যাম্বুলেন্সে তার মৃত্যু হয়। ওই দূর্ঘটনার ২ জনের মৃত্যুর গুজবে ঢাকা-চট্রগ্রম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা।
বন্ধ গেইট খুলে দেওয়া পর্যন্ত রাস্তা বসে পড়ে ৪ ঘন্টা ব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখায় দাউদকান্দি থেকে যাত্রাবাড়ি পর্যন্ত রাস্তার দুইপাশেই যানবাহন আটকা পড়ে চরম দূর্ভোগের শিকার হয়েছেন রোগীবাহী মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্স, যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস ও পণ্যবাহী যানবাহন । অবশেষে বন্ধ গেইট খুলে দেওয়ার পর অবরোধ তুলে নিয়েছিলেন বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা ।