দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই বলেছেন, সদর থানা আওয়ামীলীগের কমিটিতে যেন কোন কাউয়া ও হাইব্রীডকে যেনসদস্যপদ না দেয়া হয়। জাতীয় পত্রিকা দৈনিক ইত্তেফাক সুত্রে জানা গেছে দেশে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে প্রায় ৬০ হাজারের উপরে হাইব্রিড ঢুকে পড়েছে। তাদের অত্যাচাওর মুল নেতাকর্মীরা অসহায় হয়ে পড়েছে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও ২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
গোগনগর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় শনিবার ( ২৮ আগষ্ট ) সকালে চর সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এই সভায় গোগনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজ মাস্টারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এ বি এম আজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজিবুর রহমান সিকদার এবং নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন আহমেদ,
গোগনগর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো.নুর হোসেন সওদাগর,এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মেম্বার গোগনগর ইউনিয়ন মোক্তার হোসেন সুকুম, বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কামাল হোসেন, কিশোর মেলা ক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল সরকার সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
তিনি আরও বলেন,২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় আমাদেও ২২জন নেতাকর্মী মারা গিয়েছে এবং প্রায় আড়াই শতাধিক নেতাকর্মী এখনও পঙ্গত্ব অবস্থায় রয়েছে। গ্রেনেড হামলা থেকে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে বাচাঁতে গাড়িতে উঠানে যায় ঢাকার প্রয়াত মেয়র মো.হানিফ। অথচ গাড়িতে উঠানোর সময়ও প্রধানসন্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সে হায়েনার দল। ৭৫’র ১৫ আগষ্টে নিহত সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করে তিনি বলেন,সে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারকে হত্যা ছিলো বিশে^ একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা যা পৃথিবীর বুকে কোথাও এমনটা নেই।
গোগনগরে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নিয়ে তিনি বলেন, নৌকার মালিক হচ্ছেন আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হানিা। আমরা কোন তালপাতা বা কাঠালপাতার ব্যক্তিকে নৌকা প্রতিক দিবোনা। জেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারীর উপস্থিতিতে দলীয় প্রতিক নিয়ে বিরুপ বক্তব্য,বক্তাদের এমন প্রশ্নের জবাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন,আমি কারোর বিষয়ে কোন সমালোচনা করবোনা। কিন্তু আপনারা সবাইতো জানেন সাংসদ সেলিম ওসমান তাকে বেশী মতলব বাজের জন্য মতলবে পাঠানোর কখাও কিন্তু বলেছিলেন।
আমাদের সাংসদ সেলিম ওসমান গত কয়েকমাস পুর্বে বলেছেন কাকে নৌকা দিবেন সেটা আপনারা শুনেছেন। তবে যিনি নৌকা প্রতিক পাবেন আমরা তার পক্ষেই করবো। তিনি আরও বলেন,যারা নৌকার চেয়ে তালপাতাকে বেশী পছন্দ করেন তাহলে তারা কি কারনে নৌকা নিয়ে বাড়াবাড়ি করেন।
আলোচনা সভা শেষে ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাওলানা ইসমাইল হোসেনের পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু সহ তার পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সকল সদস্য ও ২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় সাবেক প্রেসিডেন্ট জিলুর রহমানের সহ-ধমির্নী আইভি রহমানসহ সকল শাহাদাত বরণকারী সকল আওয়ামীলীগ নেতাদের আত্মার মাগফেরাত ও জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ সকল নেতাদের দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।