দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নগরীর টানবাজার সেবক কলোনী এখন পরিনত হয়োছে মাদকের আক্ষড়ায় এমন দাবী স্হানীয় অধীবাসিদের ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্হানীয়ারা জানায় এখানে একটি মাদক কেনাবোচার চক্র তৈরী হয়েছে, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী বার বার অভিযান চালিয়ে ইতিমধ্যে কয়েকজন কে মাদক সহ গ্রেফতার করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে গডফাদাররা।
এলাকার স্হানীয় বাসিন্দারা আরও জানায় ( ১) প্রতিমা- স্বামী প্রিতম, নামে এক মহিলাও এখানে বাংলা মদের ব্যবসা করে তার নামে সদর মডেল থানায় ২০১২ সালে একটি মামলা হয়, তার পরও সে থেমে নেই । ( ২)গৌবিন্দ – পিতাঃ- রঞ্জিত, সে এখানে চোলাই মদের ব্যবসা করে তার সঙ্গী ( ৩) সাট্টু। উপরোক্ত ব্যাক্তি গৌবিন্দ গত সোমবার রাতো যখন পিকআপ ভ্যান থেকে তার ঘরে মদ নামিয়ে রাখছিলো সে সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্হিতি টেরপেয়ে পালিয়ে যায়।
সেখান থেকে মাদক সহ ৪ জন কে হাতে নাতে আটক করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী । তারা জানায় ঐ মাদক ব্যাবসায়ীদের গ্রেফতার না করলে এই এলাকায় মদ, গাজা,ইয়াবার ছোবল থেকে রক্ষা পাবে না স্কুল কলেজ পড়ুয়া ও বিভিন্ন পেশার সাধারন মানুষ ।
উল্লেখ্য যে গত সোমবার রাতে র্যাব-১১অভিযান চালিয়ে নগরীর টানবাজারের সেবক কলোনী থেকে নারী মাদক ব্যবসায়ীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে । গ্রেফতারকৃতরা হলো টানবাজার সেবক কলোনীর মৃত কিশোর দাসের ছেলে মানিক দাস (৩০), ছনু দাসের স্ত্রী পপি রানী (২৮), বন্দরের মদনপুরের বাচ্চু মিয়ার ছেলে আবু তাহের (৩৩) ও সোনারগাঁয়ের জালচর এলাকার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে আলী হোসেন (৫০)।
গত সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, টানবাজার এলাকায় একটি অপরাধী চক্র মদ ও ইয়াবার আখড়া তৈরি করেছে। এই আখড়ায় স্কুল কলেজে পডুয়া ছাত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার লোকজন গিয়ে মদ ও ইয়াবা সেবন করে।
অভিযান চালিয়ে ২১৫ লিটার বাংলা মদ ও ১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।