দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে মশক নিধন কর্মীদের সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক সভা হয়েছে। এসময় কর্মীদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিও) আবুল আমিন। একই সঙ্গে সিটি করপোরেশনের মশক নিধন কর্মীদেরও সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান তিনি। যদি কেউ সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন না করে তাদের বেতন না দেওয়া সহ চাকরিচ্যুত করার হুশিয়ারী দেওয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার সকালে শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকায় সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলায় ওই সভা হয়।
সিটি করপোরেশনের মশক নিধন কর্মীদের সঙ্গে প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ আফসানা আফরোজ বিভা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাঙ্গীর হোসেন, ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, মশক নিধন কর্মসূচির দায়িত্ব প্রাপ্ত পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আলমগীর হিরণ প্রমুখ।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিও) আবুল আমিন বলেন, ‘প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকেও চিঠি দিয়ে বলে দেওয়া হয়েছে যাতে তাদের নিজ নিজ উদ্যোগে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। কারণ একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এক দিনে সব জায়গায় যেতে পারবে না। তাই বলে মশক নিধন কার্যক্রম থেমে থাকবে না। এজন্য কাউন্সিলরদের বলা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন,‘সাধারণত সারা বছর ব্যাপী যে মশা থাকে সেটা হলো কিউলেস মশা। কিউলেস মশা ১০টা কামড় দিলেও সমস্যা হয় না। শুধু মাত্র গাঁ ফুলে যায়। কিন্তু বড় ধরনের কোন ব্যধি হয় না। ইতোমধ্যে ঢাকায় কিন্তু অ্যাটাক হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ২৫০ এর বেশি মানুষ এডিস মশার কামড়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। বড় ধরনের বিপর্যয় ঢাকায় আসতে যাচ্ছে ডেঙ্গুকে কেন্দ্র করে।
ইতোমধ্যে করোনা নিয়ে জাতি বিপর্যস্ত। তার মধ্যে ২৬০০ বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। ঢাকা যদি আক্রান্ত হয় তাহলে আমরা কি বাদ থাকবো? আমরা কি ঢাকার বাইরে? ঢাকা থেকে দ্রুত এডিস মশা চলে আসবে। তার আগে যদি আমরা সাবধান না হই তাহলে আমরাও বিপর্যয়ের মুখে পরবো। আমরা জানামতে এখনও পর্যন্ত সেই ভাবে আমাদের এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়নি। এটা আমরা সুভাগ্য মনে করবো। কিন্তু এ সুভাগ্য দুর্ভাগ্যে পরিনত হতে সময় লাগবে না।’
মশক নিধন কর্র্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ওয়ার্ডে যেসব জায়গায় পানি জমে আছে সেগুলোতে অভিযান চলবে। আপনার সেইস্থানগুলো চিহ্নিত করে কাজ করবেন। যারা ফগার মেশিন চালানোর জন্য কাজ করবেন তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আপনারা তিনজন করে প্রতি ওয়ার্ড থেকে নাম দিবেন।
তিনি বলেন,‘আমরা কাছে গোপন রিপোর্ট আছে অনেক ওয়ার্ডে যে ৫জন কর্মী আছে তাদের সবাই ঠিক মতো কাজ করে না। আমরা চাই এ ৫জন কর্মী আজকে থেকে অন্য সকল কাজ ফেলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন কাজে ঝাপিয়ে পরতে হবে। আজকে থেকে গোপন রিপোর্ট দিবেন কারা কাজ করলো কারা করলো না। যদি কাজ করবেন না তাহলে আগামী মাস থেকে আমি বেতন শিটে স্বাক্ষর করবো না।
এটা সরকার থেকে আমাকে বলে দিয়েছে। আমি যদি কোন ওয়ার্ডের কর্মীকে মাঠে না পাই তাহলে আমি কিন্তু বেতন বিলে স্বাক্ষর করবো না। চাকরি করবে না সমস্যা নেই লিখিত দিবেন অন্যথায় আমরা চিঠি দিয়ে দিবো। আমাদের কাছে লোকের অভাব নেই। আগামী দুই মাস কঠিন ভাবে প্রতিটি ওয়ার্ডে কাজ করতে হবে। অন্যথায় আমরা এডিস মশা আমরা প্রতিরোধ করতে পারবো না। মেয়র এ বিষয়ে সচেতন রয়েছে। যার জন্যই আপনাদের সঙ্গে মিটি করতে বলেছে।