দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ ও রিকশা, ব্যাটারি রিকশা, ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক মেহেদী হাসানসহ শ্রমিক নেতৃবৃন্দের উপর হামলাকারী চাঁদাবাজ জুটসন্ত্রাসী সুমন,
জুয়ারি জাহাঙ্গীরসহ সকল সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে আজ বিকাল ৫ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও শহরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ, বিসিক শাখার সভাপতি নূর হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি রুহুল আমিন সোহাগ, গাবতলী পুলিশ লাইন শাখার সাধারণ সম্পাদক হাসনাত কবীর, তল্লা আঞ্চলিক শাখার নেতা কামাল হোসেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ৮ আগস্ট সন্ধ্যায় মাসদাইর চৌধুরী কমপ্লেক্স এলাকায় অবস্থিত বাসদ সদর উপজেলা কার্যালয়ে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভা চলাকালে চাঁদাবাজ জুটসন্ত্রাসী সুমন, জুয়ারি জাহাঙ্গীর, কাউসার, আব্দুল্লার নেতৃত্বে হামলা চালায়। গত এক কিছুদিন যাবৎ জুটসন্ত্রাসী সুমন গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক ও গাবতলী পুলিশ লাইন শাখার সভাপতি সাইফুল ইসলাম শরীফের কাছে ৭ লাখ টাকা ও জুয়ারি জাহাঙ্গীর ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা না দিলে শরীফকে হত্যা করবে এবং অফিস উচ্ছেদ করবে বলে হুমকি দেয়।
বাসদ কার্যালয়ে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সংগঠকদের সভা চলাকালে সুমন ও জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসীরা বাসদ অফিসে প্রবেশ করে শরীফের কাছে চাঁদা দাবি করে হামলা চালায়। সংগঠনের অন্যান্য কর্মীরা শরীফকে রক্ষায় এগিয়ে এলে তাদেরকেও সন্ত্রাসীরা এলোপাথারী মারধর করে।
এতে মারাত্মক আহত হয় রিকশা, ব্যাটারি রিকশা, ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক মেহেদী হাসান। আরও আহত হয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের গাবতলী পুলিশ লাইন শাখার সাধারণ সম্পাদক হাসনাত কবীর, সহ-সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আলী, সংগ্রাম পরিষদ নেতা মিলনসহ ১০ জন নেতা-কর্মী। আহতদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, জুটসন্ত্রাসী সুমন ও জুয়ারি জাহাঙ্গীর বিএনপি-জামাতের শাসনামলে এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী ছিল। সুমনের নামে বহু সন্ত্রাসী মামলা আছে। বিভিন্ন মামলায় জেল খেটেছে এবং মাদকের সাথে যুক্ত। বর্তমানে সুমন ও জাহাঙ্গীর মুখোশ বদল করে নারী গার্মেন্টস শ্রমিকদের রাস্তাঘাটে হয়রানি করে, এলাকায় চাঁদাবাজি করে। জাহাঙ্গীর ইন্টারনেট জুয়ারি চক্রের সাথে জড়িত এবং চাঁদাবাজিসহ এলাকায় নানা অপকর্মের সাথে যুক্ত।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ৮ আগস্ট দিবাগত গভীর রাতে থানায় মামলা দেয়া হয়েছে। মামলা নং ২৯, ৯/৮/২০২১।
মামলার আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং টেলিফোনে আমাদের সংগঠনের কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে। পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে চাঁদাবাজ জুটসন্ত্রাসী সুমন, জুয়ারি জাহাঙ্গীরসহ সকল সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।