দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের আলগীরচর গ্রামের শাহিদা বেগম (৪০) হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাবিবুর রহমানসহ (৪২) দুইজনকে গ্রেফতার করেছে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গত ২৬ আগস্ট দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার সাপেরচর এলাকা হতে হাবিবুরকে গ্রেফতার করে।
সে সোনারগাঁয়ের আলীরচর গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে। মামলার প্রধান আসামী হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব(৪০) গত-২৭ আগস্ট সিনিয়র জুুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মহসিনের আদালতে এজাহারনামায় আসামীদের সরাসরি জড়িত বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। পরে আসামীদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জানিয়েছে, গত ৪ আগস্ট বিকালে সোনারগাঁয়ের বারদী এলাকায় জমিজমা সংক্রান্ত ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা টেঁটা, চাকু, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাদেকুর এবং তার পরিবারের লোকজনের উপর হামলা চালায়। হামলায় বাদীর চাচাতো ভাই দেলোয়ার এবং মনিরের দিকে টেটা নিক্ষেপ করলে তারা টেঁটা বিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন।
আসামী হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব বাদী সাদেকুরকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার দিকে টেঁটা নিক্ষেপ করলে টেঁটাটি লক্ষভ্রষ্ট হয়ে বাদীর শ্যালিকা শাহিদার (৪০), বুকে বিদ্ধ হলে বাদীসহ তার আতœীয়স্বজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপালে ভর্তি করার দুই দিন পরে শাহিদা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় সাদেকুর রহমান সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হবার সাথে সাথেই পুলিশ সুপার, পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলার নির্দেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ তদন্ত শুরু করে।
সূত্রে বর্ণিত মামলাটি সোনারগাঁ থানা পুলিশ কিছুদিন তদন্তের পরপরই মামলার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় গত ১৭ আগস্ট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)নারায়ণগঞ্জ জেলা মামলাটির স্ব-উদ্যোগে গ্রহণ করে। এ মামলার অপর আসামিরা হলেন মোঃ জিয়া (৩৫), জামিল হোসেন (৩০), মোঃ হোসেন (৩২), মোঃ মনির (২৮), মোঃ রাব্বি (২০), মোঃ ফারুক (৩২) তাদেরকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।
গ্রেফতারকৃত আসামি হাবিবের দেওয়া তথ্য মতে, হামলার পরিকল্পনাকারী তারই বোন আসামী মোসাঃ শাহনাজ (৪৫), কে ডেমরা থানার সুকুরসি এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। মামলার ঘটনাস্থল থেকে আসামীদের ব্যবহৃত মোট সাতটি চারফলা বিশিষ্ট টেঁটা আসামী হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিবের ঘর থেকে জব্দ করা হয়েছে।