দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন জুয়েলের শেল্টারে আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ভাতিজা শামীম। মদ্যপান করে কুপিয়ে জখম করেছে তোলারাম কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের দুই শিক্ষার্থীকে। এ ঘটনায় ভাতিজা শামীম সহ ৭ জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পিলকুনি পাঁচতলা সংলগ্ন একটি দোকানে ঘটে এই ঘটনা।
আহত দুই জন হলো ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুরের লেহাজ উদ্দিন কবিরের ছেলে মোঃরাব্বি ও তার বন্ধু আল আমিন।
এই ঘটনায় আহত রাব্বির ভাই মোঃআল আমিন বাদী হয়ে মোঃ শামিম পিতা-এমান মিয়া,মোঃ লাভলু (৩০) পিতা-মৃতঃ মশিউর রহমান,মোঃ বাপ্পি (২৪), পিতা-অজ্ঞাত,মোঃ পার্থ (২৪) পিতা-শংকর,মোঃ সাইদুল (২৪),পিতা অজ্ঞাত,মোঃ অভি (২৪), পিতা- অজ্ঞাত,মোঃ রায়হান (২০) পিতা-সিরাজ সর্ব সাং-সিয়াচর বড় বাড়ী আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।যার নং ৯০৩৯।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয় গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় মোঃ রাব্বি এবং তার বন্ধু আল আমিন পিলকুনিস্থ পাঁচতলা সংলগ্ন দোকানে বসা অবস্থায় শামীমের নেতৃত্বে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া দোকানে অনাধিকার প্রবেশ করে অতর্কিত ভাবে এলোপাথাড়ী মারধর করে। শামীম ও লাভলুর হাতে থাকা ধারালো রাম দা দিয়া রাব্বিকে হত্যার উদ্দ্যেশে মাথার উপর কোপ মেরে কেটে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।
বাপ্পি ও পার্থ আল আমিনকে ধারালো রাম দা দিয়া হত্যার উদ্দ্যেশে মাথার উপর কোপ মেরে কেটে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। অন্যান্যরা হাতে থাকা লোহার এসএস পাইপ দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা রক্ত জমাট জখম করে। পরবর্তীতে উল্লেখিত ঠিকানায় রক্ষিত রাব্বির বন্ধুর ব্যবহৃত পালসান এন এস মটর সাইকেল ভাংচুর করে অনুমান ৫০হাজার টাকার ক্ষতিসাধণ করে রাব্বির পকেটে থাকা ব্যবহৃত মোবাইল ফোন যাহার মূল্য অনুমান ২৩ হাজার টাকার এবং নগদ ৫ হাজার ৫০০ টাকা জোর পূর্বক ছিনাইয়া নিয়া নেয়।
হইচই ও চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে শামীম বাহিনী রাব্বি সহ তার বন্ধুকে জীবনে শেষ করিয়া ফেলিবে বলিয়া হুমকি প্রদান করে চলিয়া যায়।
আহতদের পরিবার ও এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানা যায়,রাতে শামীম বাহিনী মদ্যপান করে রিকশা দিয়ে এসে রাব্বি ও আল আমিনের উপর দেশীয় অস্ত্র সহ হামলা চালায় পাঁচতলা সংলগ্ন দোকানে বসা অবস্থায়।
ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই জনকেই গুরুত্বর জখম করেছে। এলাকাবাসী চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে শামীম বাহিনী পালিয়ে যায় প্রাননাশের হুমকি দিয়ে। পরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে রবিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
এলাকাবাসী আরো জানায়,চাচা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতার সুবাদে এবং এলাকায় নিজেদের প্রতিপত্তি থাকায় প্রতিনিয়ত একটার পর একটা অপরাধ করে যাচ্ছে। আর চাচা সানোয়ার হোসেন জুয়েলের শেল্টারে আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।কিছুদিন আগে র্যাবের হাতে ছিনতাইকালে গ্রেফতার হয় শামীম বাহিনী।
জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠে।ফতুল্লা থানায় চাঁদাবাজি,ছিনতাই,মাদক, মারামারি সহ একাধিক অভিযোগ থাকা স্বত্তেও চাচার সুবাদে বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে ভাতিজা শামীম।