দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: ফতুল্লার ফুটপাতে প্রতিদিন বাড়ছে নতুন নতুন দোকান। ফুটপাতে এসব অস্থায়ী দোকানি রাতের বেলায় চুরি করে ব্যবহার করছে বিদ্যুৎ। এক শ্রেণির কথিত রাজনীতি নেতা ও নেত্রী ফুটপাতে এসব হকারের পৃষ্ঠপোষক। প্রতিদিন ফুটপাতে এসব হকারের কাছ থেকে চাঁদা আদায় হচ্ছে ।
হকারদের দখলে ফুটপাত চলে যাওয়ায় সাধারণ মানুষকে হাঁটাচলার জন্য ফুটপাত ছেড়ে রাস্তায় নামতে হচ্ছে। এতে করে ফতুল্লায় দিচ্ছে দীর্ঘ যানজট। আশঙ্কা বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনার।এই হকারদের উচ্ছেদে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
ফুটপাতের হকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হকারদের কাছ থেকে প্রতিদিন ১০০ থেকে ২০০ ও মাসে তিন থেকে চার হাজার টাকা দোকান প্রতি চাঁদা আদায় হচ্ছে। আবার ফুটপাতের জায়গা দখল নিতেও গুণতে হয়েছে মোটা অঙ্কের চাঁদা। বিভিন্ন মহলের নামে ওঠানো হয় চাঁদার টাকা।
স্থানীয় রফিকুল ইসলাম বলেন, করোনাকালে সবাইকে মাস্ক পরিধান ও তিন ফুট দূরত্ব রেখে চলাচলের যে নির্দেশনা ছিল তা মানা হচ্ছে না
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ফতুল্লা মডেল থানার পাশেই আমিন সুপার মার্কেটের সামনে পুরা রাস্তাই দখল হয়ে আছে বিভিন্ন দোকান বসিয়ে। ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ি পারিবারিক কবরস্থানের সামনের রাস্তা কাচঁ বাজারের দখলে। সমবায় মার্কেটের সামনে ফুটপাতগুলো হকারদের দখলে বেশি থাকে। সড়কের মাঝখানে এসব হকাররা একটি ভ্রাম্যমাণ ভ্যান নিয়ে শার্ট, টি-শার্ট, প্যান্ট, বিভিন্ন ফল ও খাদ্যসামগ্রীসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করছে।
হকারদের একটি সূত্র জানায়, এখন ফতুল্লায় পাঁচ শত হকার রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে তা চার থেকে পাঁচগুন বাড়ে। চার হাত বাই পাঁচ হাত চৌকি বসাতে দিতে হয়েছে আট থেকে ১০ হাজার টাকা। এছাড়া বিদ্যুতের লাইনের জন্যও প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে আরও ৫০ টাকা করে। শর্ত হচ্ছেথ একটি বাতির বেশি জ্বালানো যাবে না।