দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বর্তমান সময়ের ক্ষমতাশীন দলের আলোচিত ৩ ব্যক্তিকে নিয়ে নানা সমালোচনা করছেন।
সেই সাথে নারায়ণগঞ্জে ক্ষমতাশীনদের উত্তর ও দক্ষিন মেরুর বিভাজনের রাজনীতির কারনে জনগণ তাদের সেবা থেকে কতটুকু বঞ্চিত হচ্ছে, এবং ভবিষ্যত্ব প্রজন্মের কাছে কিভাবে রাজনীতি অনিশ্চিত হচ্ছে সেই বিষয় স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরেছেন।
এদিকে আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন নিয়ে মেয়র প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সেই সাথে বর্তমান মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমানকে নিয়ে নানা তথ্য তুলে ধরেছেন।
পাঠকদের সুবিধার্থে হুবুহু প্রকাশ করা হলো, (২৪ সেপ্টেম্বর ৩.৪০মি.)
নাঃগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের চাষাড়া, ১নংও ২নং রেলগেইট, মন্ডলপাড়া, নিতাইগঞ্জ, মেট্রো হলের মোড় এবং পঞ্চবটি ও চিটাগাং রোডের যানজটৈর জন্য মাননীয় নাঃগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী , নাঃগঞ্জ -৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান ও নাঃগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান সমান ভাবে দায়ী। যানজট নিরসনে তাদের তিনজনের কোন সদিচ্ছা ও পরিকল্পনা নেই বললেও চলে । তাদের তিন জনের মধ্যে আদর্শের কোন দ্বন্দ্ব নেই। তাদের তিনজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ব্যক্তি স্বার্থ ও প্রভাব প্রতিপত্তির জন্য দ্বন্দ্ব। তাদের তিন জনের ব্যক্তি স্বার্থের দ্বন্দ্বের জন্য নাঃগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ও তার আশেপাশের এলাকার লোক অনেক উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। যেমন নাঃগঞ্জ সিটিতে একটি মেডিক্যাল কলেজ, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়,একটি শিশু পার্ক , নাঃগঞ্জ ও বন্দরে যোগাযোগের জন্য সেতু ও শহরের বাহিরে বাস স্ট্যান্ড ও পরিকল্পিত রাস্তা ঘাট নির্মাণ হয় নাই।
এমন কি আজো হকার্সদের পূনর্বাসন করে ফুটপাত হকার্স মুক্ত করা হয় নাই ।ত ার মধ্যে অন্যতম কারণ তাদের তিনজনের মধ্যে ব্যক্তি স্বার্থের জন্য দ্বন্দ্ব। তাদের তিনজনের মধ্যে ঐক্য না থাকায় নাঃগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ও তার আশেপাশের এলাকার লোক অনেক কিছুর উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ও প্রয়োজনীয় নাগরিক নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । আর সকল উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হওয়ার জন্য তারা তিনজন সমান ভাবে দায়ী। নাঃগঞ্জ বাসী মনে করে আ’লীগ ক্ষমতায় থাকার পরও নাঃগঞ্জ উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর এই তিন জনের দ্বন্দ্বের কারণে নাঃগঞ্জ বাসী কাঙ্খিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তাদের তিনজনের দ্বন্দ্ব পরবর্তী প্রজন্মকেও বিভক্ত করে ফেলছে,যা নাঃগঞ্জ বাসীর জন্য অশনি সংকেত। আর নাঃগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকার নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি করার জন্য নাঃগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে নাঃগঞ্জ-৫ ও নাঃগঞ্জ-৪ বর্তমান এমপিদের সহযোগিতা নেওয়া প্রয়োজন এবং নাঃগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি করার জন নাঃগঞ্জ-৫ ও নাঃগঞ্জ-৪ আসনের দুই এমপিকেও নাঃগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা প্রয়োজন।
পাঠকদের সুবিধার্থে হুবুহু প্রকাশ করা হলো, (২৩ সেপ্টেম্বর ৭.৩১ মি.)
যার মানবতাবোধ ও বিবেক নেই, তার কিছুই নেই। মানবতাবোধ হীন মানুষ পশুর সমতুল্য। আমরা বেশকিছু দিন যাবৎ লক্ষ্য করছি নাঃগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন উন্নয়নের নামে অধিকতর মানুষের উপকারে আসবে না ,সেই বাবুরাইল ও জিমখানা লেক নির্মানের নামে জিমখানা রেলওয়ে কলোনী ও বস্তিবাসীদের এবং ১নং বাবুরাইলের দুই পাড়ের বসত বাড়ীওয়ালাদের উচ্ছেদ করেছে, তাদের পরিবার ও পরিজন কোথায় আছে,কিভাবে কোথায় বাস করছে এবং কিভাবে চলছে তা কি কখনো মানবিক ভাবে চিন্তা করে নাঃগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মাননীয় মেয়র আইভী খবর নিয়েছেন?
যদি খবর না নিয়ে থাকেন তাহলে তার মানবতাবোধ থাকলো কোথায়? যেখানে এই নির্মানের নামে দুই দুইবার বাজেট প্রায় ১০০০ হাজার কোটি টাকা খরচ দেখিয়েছেন, জরিমানা রেলওয়ে কলোনীবাসি (রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া) ও জিমখানা বস্তিবাসী ও ১নং বাবুরাইলের খালের দুই পাড়ের বাড়িওয়ালাদের পূনর্বাসন বা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে কি না ?
যদি না দিয়ে থাকে তাহলে আমাদের নাঃগঞ্জের সিটি করপোরেশনের মেয়র অমানবিক কাজ করেছে এবং লেক নির্মানের প্রায় ১০০০হাজার কোটি টাকা কোথায় কোথায় খরচ করেছে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে হিসাব নাঃগঞ্জবাসী জানতে চায়। কারণ নাঃগঞ্জ বাসীর জানার অধিকার আছে,যেহেতু নাঃগঞ্জ বাসী হোল্ডিং টেক্স সহ বিভিন্ন টেক্স দিয়ে থাকে।
যদি এই লেক নির্মানের হিসাব জন সম্মূখে না দিয়ে থাকে,তাহলে বুঝ হবে ডাল মে কুছ কালায়ে! প্রতি বছর নিজস্ব লোক ঠেকে মিলনায়তন ভরে বাজেট পেশ করলেই চলবে না, ১৫ বছরে প্রতি বছরের বাজেট কোথায় ও কিভাবে খরচ করা হয়েছে, তাও নাঃগঞ্জ বাসী জানতে চাও।
যদি নাঃগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র আইভীর সততা, দায়িত্বশীলতা, ন্যায়পরায়ণতা ও মানবতাবোধ থাকে তাহলে সে বিগত ১৫ বছরের হিসাব যথাযথ ভাবে ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জন সম্মুখে প্রকাশ করবে ।আর নয় তার সততা, দায়িত্বশীলতা, ন্যায়পরায়ণতা ও মানবতাবোধ প্রশ্নবিদ্ধ ? নাঃগঞ্জ সিটি করপোরেশনের যে কোন নাগরিক এই হিসাব রাখার অধিকার রাখে ও আছে । যে মানুষকে উচ্ছেদ করতে জানে, তাদেরকে পুনর্বাসন করতে জানে না তার মানবতাবোধ বলতে কিছুই নেই ।
পাঠকদের সুবিধার্থে হুবুহু প্রকাশ করা হলো, (২২ সেপ্টেম্বর ৬.৩৬)
আওয়ামী লীগের সবার চরিত্র একই। কেউ সরাসরি খায়,আর কেউ ঘুরাইয়া খায় । মেয়র আইভীর দল আ’লীগেই আমার নেত্রী মা,মাটি ও মানুষের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতিহিংসায় সাজানো মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে অসুস্থ্য অবস্হায় কারারুদ্ধ করে রেখেছে, আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ ও তারুণ্যের অহংকার তারেক জিয়াকে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় সাজা দিয়ে দেশের বাহিরে রেখেছে এবং দেশ ব্যাপী বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের গুম,খুন করে লক্ষ লক্ষ মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটাচ্ছে।
সেই দল আ’লীগের মেয়র আইভী আর কত ভালো হবে সেটা আমাদের জানা আছে। তিন তিনবার বিএনপির সমর্থক, নেতাকর্মীদের ভোটে নাঃগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র হয়েছে আইভী।
সে কখনো কি বিএনপির নেতা ও কর্মীদের প্রতি সৌহার্দ্য পূর্ণ আচরণ করেছে। যেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাকে আইভীকে ২য় বার মেয়র হওয়ার জন্য নিজের দলের নির্যাতিত নেতা এডঃ তৈমূর আলম খন্দকারকে নির্বাচনের পূর্বদিন প্রার্থী প্রত্যাহার করে ১০০% শামীম ওসমান পরাজয় করার জন্য মেয়র আইভী কে বিজয়ের সুযোগ করে দিয়েছেন,
সেই আইভী ভূলেও কি তার সাথে ঘনিষ্ঠ বিএনপি’র নেতাকর্মীদের কাছ থেকে কারারুদ্ধ অসুস্থ্য বেগম খালেদা জিয়ার খবর নিয়েছেন বা এমনকি চুপিচুপি বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শরীরটা কেমন আছে? সেটা জানতে চেয়েছেন? সেই অকৃতজ্ঞ মেয়র আইভী যতই ভাল হোক না কেন অত্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা অকৃতজ্ঞ মেয়র আইভী কে ভাল বলতে পারে না এবং ভবিষ্যতে তাকে সমর্থন ও ভোট দিতে পারে না,
যদি বিএনপির কোন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অকৃতজ্ঞ মেয়র আইভীকে সমর্থন ও ভোট দেয়, তারা দলের কাছে জাতীয় বেইমান ও মুনাফেক হয়ে থাকবে। আর সেই বিএনপির নেতাকর্মীদের বিএনপি করার দরকার নেই,তারা ফ্যাসিস্ট খুনী ও দেশ বিরোধী মুনাফেক আওয়াামীলীগের গুপ্তচর।এই সকল আ’লীগ অকৃতজ্ঞ আইভী মার্কা বিএনপি থেকে দেশপ্রেমিক ও শহীদ জিয়ার আদর্শের বিএনপির নেতা-কর্মীরা সাবধান, সাবধান, সাবধান।