দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার রামারবাগের শান্তা আক্তারের দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় ভাই- বোনকে শ্রী ঘরে পাঠিয়েছে বন্দর থানা পুলিশ।
ফতুল্লার রামারবাগ এলাকার মোঃ কবির হোসেনের কন্যা শান্তা আক্তারের সহিত বন্দর থানাধীন মদনপুর এলাকার আব্দুর রশিদের পুত্র ওমর ফারুকের সহিত ২০১৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা দেনমোহরে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক বিয়ে হয়।
মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বর পক্ষ কে নগদ ৩ লাখ টাকা ও ২ লাখ টাকা মূল্যের আসবাবপত্র দেয়া হয়। কিছুদিন যাওয়ার পর আরো ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। শান্তা আক্তার যৌতুক এনে দিতে অস্বীকার করায় মারধর,মানসিক নির্যাতন করা হতো।
গত ২৫/৫/২০২১ ইং তারিখ আসামী বন্দর মদনপুর এলাকার ওমর ফারুক,আব্দুর রশিদ,দেলোয়ারের স্ত্রী রোমানা,শাহীনের স্ত্রী তাসলিমা,দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার মৃত আব্দুল সামাদের পুত্র হারুন মেয়ের বাবার বাড়ি এসে বলে দুই লাখ টাকা না দিলে শ্বশুর বাড়িতে শান্তার জায়গা হবেনা। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উল্লেখিত আসামীরা শান্তাকে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে।
২০২১ সালের ১২ জুন ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা নং-৩৫ দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করলে গত বৃহস্পতিবার বন্দর থানা পুলিশ যোতুক লৌভী স্বামী ওমর ফারুক ও ননাস রোমানাকে আটক করে কোর্টে প্রেরন করে। অপর আসামী রশিদ,হারুন ও তাসলিমা পালিয়ে যায়।