দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে প্রতিবেশী এক কিশোরীকে (১৫) কে ভয় দেখিয়ে নিয়মিত ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আক্তার হোসেন নামের এক বখাটের বিরুদ্ধে। এতে নাবালিকা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয় বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত আক্তার নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহাগ রনির আস্থাভাজন হওয়ায় তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে ধর্ষিতা ও তার পরিবারের সদস্যরা ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না।
ধর্ষিতার পার্শ্ববর্তী নগর সাদিপুর গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান,ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটায়,ফলে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। ঘটনা জানাজানি হলে ধামাচাপা দিতে সোহাগ রনি তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাবিলগঞ্জ গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে ওয়ালিদ মিয়া,ছোট অর্জুন্দী গ্রামের মৃত গোবিন্দ চন্দ্র ঘোষের ছেলে সজল ঘোষ,
কাবিলগঞ্জ গ্রামের ইয়াসিন আরাফাত,ষোল্লাপাড়া গ্রামের সজল শোয়েব ও তার সহযোগীদের গোপনে মীমাংসার জন্য নির্দেশ দেয়। সেই মতে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর রিক্সা চালক দরিদ্র পিতা সবুজকে চল্লিশ হাজার টাকায় আপোষ করে গর্ভের সন্তান নষ্টের জন্য চাপা প্রয়োগ করে এবং অদ্যোবধি আসছে।
সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বড় সাদিপুরে এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ধর্ষকের বিচার এবং তার গর্ভের সন্তানকে রক্ষা ও স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। শুধু ধর্ষণের শিকার কিশোরী ও তার পরিবারের সদস্যরা নয়,সোহাগ রনি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে এলাকাবাসীও প্রকাশে কিছু বলতে নারাজ।
ধর্ষক আক্তার হোসেন ওরফে বখাটে আক্তার সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বড় সাদিপুর গ্রামের মৃত্যু মনু মিয়ার ছেলে। সে তিন সন্তানের জনক,তার বড় মেয়ে সোনারগাঁও সরকারি কলেজে পড়াশোনা করে।
জানা যায়,গত মে মাসের শেষ সপ্তাহের কোনো একটি দিন সকাল অনুমান ১০টার দিকে কিশোরী বাড়িতে রান্নাঘরে রান্না করছিলো। সে সময় ওই কিশোরী ছাড়া বাড়িতে আর কেউ না থাকার সুযোগে লম্পট আক্তার হোসেন ওরফে বখাটে আক্তার মেয়েটিকে রান্নাঘর হতে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর এ কথা কাউকে বললে তাকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি প্রদান করে।
এভাবে অভিযুক্ত বখাটে আক্তার প্রায়সময় কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে কাউকে দেখতে না পেলে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে প্রায়ই ধর্ষণ করতো। এর কয়েকমাস পর মেয়েটির শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন এবং গর্ভে বাচ্চা হবার ফলে পেটের আকার বৃদ্ধি পায়। এতে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। তারা মেয়েটিকে এর কারণ জানার জন্য চাপ দিলে সে সব কথা খুলে বলে।
বিষয়টি নিয়ে সুষ্ঠু বিচারের জন্য মেয়েটির পরিবার স্থানীয়দের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বিচার দিলেও ধর্ষক আক্তার ও সোহাগ রনির লোক হওয়ায় ভয়ে প্রকাশে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, এই রকম কোনো ঘটনা আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হবে।