দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: ইলেকট্রিক মোটরযান রেজিস্ট্রশন ও চলাচল নীতিমালায় ব্যাটারি রিকশা ও ইজিবাইককে অন্তর্ভূক্ত করে লাইসেন্স প্রদানসহ ৫ দফা দাবিতে রিকশা, ব্যাটরি রিকশা- ভ্যান ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে দেশব্যপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সমাবেশ ও পরে শহরে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিল শেষে একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা করেন। রিকশা, ব্যাটরি রিকশা- ভ্যান ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ, রিকশা, ব্যাটারি রিকশা ফতুল্লা আঞ্চলিক শাখার সদস্য সচিব মিজানুর রহমান, গাবতলী-পুলিশ লাইন তাগার পাড় আঞ্চলিক শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম, মাসদাইর আঞ্চলিক শাখার সমন্বয়ক মুসা মিয়া, বন্দর শাখার সমন্বয়ক মোহাম্মদ শামিম
নেতৃবৃন্দ বলেন, জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে কর্মসংস্থানের চেষ্টা করতে গিয়ে সারাদেশে রিকশা, ব্যাটারি রিকশা, ইজিবাইক যে এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। এই ক্ষেত্রে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে, ৪২ টি উপখাত সৃষ্টি হয়েছে এবং প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে আড়াই কোটি মানুষ নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। একদিকে অর্থনীতিতে অবদান, কর্মসংস্থান, দেশীয় শিল্পের বিকাশ অন্যদিকে দেশের সর্বত্র সাধারণ মানুষের অন্যতম বাহন হিসেবে ব্যাটারিচালিত বাহন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই সব যানবাহন পরিবেশ দূষণ করে না, জ্বালানী অপচয় করে না, অল্প সময়ে এবং অল্প জায়গা ব্যবহার করে অধিক যাত্রী পরিবহণ করে থাকে। কিন্তু দেশীয় প্রযুক্তি এবং মেকানিকদের দ্বারা নির্মিত বলে শুরুতে এইসব বাহনের নির্মাণে কিছু দুর্বলতা ছিল। ইতিমধ্যে অভিজ্ঞতা অর্জনের ফলে সে সব ত্রুটির কিছু যেমন সংস্কার করা হয়েছে তেমনি আধুনিকায়নের জন্য প্রকৌশলী ও যানবাহন চলাচল বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ করলে এই সব যানবাহনের আরও আধুনিকায়ন, ব্যয় সাশ্রয়ী এবং নিরাপদ করা সম্ভব হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। একটি সঠিক নীতিমালা প্রণয়ন করে এই সমস্ত যানবাহনকে লাইসেন্স প্রদান করা হলে রাষ্ট্র যেমন রাজস্ব পাবে তেমনি সড়কেও শৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ইজিবাইকের কাঠামোর সর্বজনগ্রাহ্য এবং যাত্রী সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্বলিত ডিজাইন/ড্রয়িং প্রণয়নের কাজ চলছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের জন্য নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমরা আশা করি এই নীতিমালা প্রণয়নের সময় ব্যাটারি রিকশা, ইজিবাইক এবং অন্যান্য দেশীয় যানবাহনকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
৫০ লাখ চালক, মালিক এবং তাদের উপর নির্ভরশীল আড়াই কোটি মানুষের কথা ভেবে একটি বিজ্ঞানসম্মত ও মানবিক পদক্ষেপ সরকারের তরফ থেকে গ্রহন করা হবে। প্রতিনিধি দল বিআরটিএ-র চেয়ারম্যান বরাবর ও নারায়ণগঞ্জে বিআরটিএ-র সহকারি পরিচালকের নিকটও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। উভয় স্মারকলিপিতে নিন্মক্তো ৫ দফা দাবি পেশ করা হয়।
১। ব্যাটারিচালিত যানবাহনের জন্য নীতিমালা প্রণয়নের কমিটিতে ব্যাটারি রিকশা এবং ইজিবাইককে অন্তর্ভুক্ত করা।
২। কাঠামোগত ত্রুটি দূর করে আধুনিকায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৩। যে কোন বড় সড়কে পার্শ্ব রাস্তা নির্মাণ করে সড়কে ঝুঁকি কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৪। ব্যাটারিচালিত যানবাহনের লাইসেন্স প্রদান করে বিভিন্ন মহলের চাঁদাবাজি বন্ধ করা।
৫। চালকদের সড়কে চলাচলের নিয়ম সম্পর্কে এবং মেকানিকদের কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। (
প্রেস বিজ্ঞপ্তি )