দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ ওয়াসায় কর্মরত আব্দুর রশিদ সরদারকে নিয়ে তার ২য় স্ত্রী শিপন বেগমের সাথে অপর স্ত্রী অনিতা আক্তারের ঝগড়া নিয়ে স্থানীয় মিডিয়াতে চলছে বেশ আলোচনা ও সমালোচনা। গত কয়েক দিন যাবৎ রশিদের দুই স্ত্রী একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ স্থানীয় গণ-মাধ্যমে তুলে ধরছেন।
এদিকে, ওয়াসায় কর্মরত আব্দুর রশিদ সরদারের দ্বিতীয় স্ত্রী শিপন বেগম থানায় অভিযোগ দায়ের করে উল্লেখ করেছেন, বিবাহ বিচ্ছেদের পর পুনরায় স্বামীর সংসার করার জন্য এবং স্বামীর সম্পত্তি আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে স্বামী ও তার উপর হামলা করেছে অনিতা আক্তার। আর সেই অভিযোগে অনিতাসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করেছেন।
যেখানে অনিতার আঠারো বছরের ছেলে আসিফ হোসেনের নামও দেয়া হয়েছে। সেই সাথে তাদের বিরুদ্ধে হুমকি ধামকি প্রদান সহ রশিদকে এলোপাথাড়ি মারপিঠ করে বাম হাতের আঙুল ভেঙে ফেলে এবং নীলাফুলা জখম করার অভিযোগ করেছেন। সেই সাথে গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন, তার ঘরে থাকা ড্রেসিং টেবিল ও টিভি ভাংচুর করার অভিযোগও উঠেছে।
অপরদিকে, ২য় স্ত্রী শিপন বেগমের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে উল্টো অনিতা আক্তার তাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাথের অভিযোগ এনেছে।
অনিতা আরও বলেন, বিয়ের প্রায় ১ বছর পর আমি জানতে পারি তার আরও ৩টি স্ত্রী আছে। এদের মধ্যে প্রথম স্ত্রী ৬ সন্তানের জননী বরিশাল বসবাস করে, ২য় স্ত্রী শিপন বেগম ৪ সন্তানের জননী নারায়ণগঞ্জ পাঠানতলীতে বসবাস করে, ৩য় স্ত্রী ময়না তার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে। শুধু তাই নয়এরই সুবাদে ওয়াসায় সরকারী চাকুরী দেয়ার নাম করে গত ২ বছর পুর্বে তার মেজো বোন সুমার কাছ থেকে নগদ ৬ লক্ষ টাকা নেন আমার স্বামী আব্দুর রশিদ সরদার।
চাকুরী না দিয়ে উল্টো নানা ধরনের তালবাহানা শুরু করে। টাকার জন্য আমার বোন চাপ প্রয়োগ করলে আমার স্বামী আব্দুর রশিদ সরদার আমাকে শারিরীক অত্যাচার করে। এরই ধারাবাহিকতায় আমার স্বামী টাকা দেই দিচ্ছি বলে সময় দিতে থাকে। সেই সাথে আমার ও আমার পরিবারকে নিয়ে নানা ফন্ধি আটতে থাকে। যার সুবাদে ১ নভেম্ভবর আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়ট ঘটনা দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। যাতে করে আমার পরিবার তার কাছ থেকে আর টাকা না চায়।
এছাড়াও তিনি আরও জানান আইন মোতাবেক আব্দুর রশিদ সরদার তাকে তালাক দিয়ে পুনরায় বিয়ে করেছেন বলে জানান।
এদিকে, ওয়াসায় কর্মরত আব্দুর রশিদ সরদারকে নিয়ে তার ২য় স্ত্রী শিপন বেগমের সাথে অপর স্ত্রী অনিতা আক্তারের ঝগড়া আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে বলে দাবি করেন দুই পক্ষ।