দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: ২৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক বক্তাবলী গণহত্যা দিবস।১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে পাকিন্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার প্রত্যন্ত অঞ্চল বক্তাবলী পরগনার ২২টি গ্রামে। বর্বরোচিত ওই হামলায় প্রাণ হারান ১৩৯ জন নিরীহ মানুষ।তাই মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসে ২৯ নভেম্বর দিনটি নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য অতন্২ বেদনাবিধুর দিন।
প্রতিবছরের ন্যায় বক্তাবলি গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ভোর হতেই কানাইনগর ছোবহানিয়া স্কুল এন্ড কলেজ মাঠের স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন বিদ্যালয়,সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন শহীদদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সকাল ১০টায় সরকারিভাবে লক্ষ্ণীনগর পূর্বপাড়া কবরস্থানের পাশে বধ্যভূমিতে গড়া স্মৃতিস্২ম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লা,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক সার্কেল) নাজমুল হাসান,নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা জহুরা,ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃরকিবুজ্জামান,বক্তাবলি ইউপির চেয়ারম্যান এম শওকত আলী,ইউপি সদস্য মীর আজিজুর রহমান,আকিলউদ্দিন,আবদুর রশিদ সহ সরকারি বিভিন্ন উর্ধতন কর্মকর্তা উপস্থিত হয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে ১৩৯ জন শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় ও বর্তমান চেয়ারম্যান এম শওকত আলীর সুস্থ্যের জন্যব দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তাবলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী জানান, ২৯ নভেম্বর বক্তাবলী পরগনার শোকের দিন। শোকের দিন হিসাবে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তারা এটি পালন করে থাকেন। এ বছরও তাদের কর্মসূচি রয়েছে। ভোরে জেলা প্রশাসক মোন্তাইন বিলস্নাহসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরীবেষ্টিত বক্তাবলী এলাকা মুক্তিযুদ্ধের সময় পরগনা ছিল। এখন সেটি ভেঙে তিনটি ইউনিয়ন পরিষদে রূপান্তরিত হয়েছে। শষ্যভান্ডারখ্যাত বক্তাবলীতে ১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বর ভোরে হানা দেয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। কুয়াশাঘেরা দিনের শুরুই হয় পাকিস্তানিদের গুলির শব্দে।
দুইটি নদীর পাড়ে গানবোট নিয়ে কয়েক পস্নাটুন সেনা হামলে পড়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তাঞ্চল হিসেবে পরিচিত এই অঞ্চলে। ২২টি গ্রাম থেকে নিরীহ ১৩৯ জনকে ধরে এনে নদীর পাড়ে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে পাশের লক্ষ্ণীনগর গ্রামে স্তূপাকারে রাখা হয়। কারও কারও লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হয় নদীতে। ২২টি গ্রামের বাড়িঘর গান পাউডার দিয়ে পুড়িয়ে দেয় পাক হানাদার বাহিনী।