দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বন্দরে এক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়ির সামনে এক নৌকা কর্মীর ওপর হামলার অভিযোগ আওয়ামীলীগের মনোনীত চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ।
বুধবার রাতে জাঙ্গাল এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেনের বাড়ির সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার গুরুত্বর আহত কর্মীর নাম বিল্লাল হোসেন (৫২)।
জানাগেছে, ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী আওয়ামীলীগের মনোনীত মাসুম আহম্মেদ নৌকা ও জাতীয় পার্টির নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন টেলিফোন প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বি করছেন। বুধবার রাত ৯ টার দিকে শ্রীরামপুর স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেনের কর্মী স্থানীয় বিএনপি নেতা গোলবক্স রাসেল মিয়ার সঙ্গে নৌকা প্রতীক কর্মীদের হট্রগোল সৃষ্টি হয়। এ ঘটনা কেন্দ্র স্বতন্ত্র প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো।
এ মুহুর্তে রাত ১০ দিকে কুড়িপাড়া থেকে নৌকা কর্মী বিল্লাল হোসেন মোটরসাইকেল যোগে নৌকা প্রার্থী মাসুম আহম্মেদের হালুযাপাড়া বাড়িতে যাওয়ার পথে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেনের নিজ জাঙ্গাল গ্রামে তার বাড়ির সামনে পৌঁছালে বিল্লাল হোসেনের ওপর উপর্য পরি হামলা চালায়। এতে বিল্লালের মাথা ফেটে যায় ও বুকে ও হাত ভেঙ্গে মাঠিতে লুটে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় বারাকা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হামপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত বিল্লাল মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী প্রতীক মনোনীত মাকসুদ হোসেন মাকসুদের ভাগিনা। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে বন্দরে প্রতিদিন ঘটছে হামলা পাল্টা হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা। প্রতীক বরাদ্দের পর এ পর্যন্ত মদনপুর ও ধামগড় দুই ইউনিয়নে এক প্রার্থী ও দুই নারীসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন জানান, স্থানীয় বিএনপি নেতা গোলবক্স রাসেল মিয়ার সঙ্গে নৌকা প্রতীক কর্মীদের সঙ্গে হট্রগোলের ঘটনার পর উত্তেজিত কর্মীদের রোষানলে পড়ে বিল্লাল। নির্বাচনের ফয়দা লুটতে তৃতীয় পক্ষ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বিল্লাল হোসেনের ওপর হামলার ঘটনার সততা স্বীকার করে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। হামলাকারিদের চিহিৃত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।