দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ স্ত্রী দুই পুত্র সন্তান রেখে বিয়ে করায় যৌতুক মামলায় স্বামী নুর হোসেনকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে বিজ্ঞ আদালত।
নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট “খ” অঞ্চল আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জামিন নামঞ্জরি করে তাকে কারাগারে পাঠান।
মামলার বিবরনে জানা যায়, নগরীর পশ্চিম দেওভোগ এলাকার শাহজাহান বেপারীর মেয়ে শিরিন আক্তারের সাথে লক্ষীপুর হোসেনপুর গ্রামের মৃতঃ রফিক মিয়ার ছেলে নুর হোসেনের সাথে পারিবারিক ভাবে প্রায় ৮ বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে ২দুটি পুত্র সন্তান ওয়াহিদুল ইসলাম-(৬) ও জুবায়ের আহম্মেদ আনাস (২) জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী নুর হোসেন যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে চাপ প্রোয়োগ করতে থাকে। এক পর্যায় শিরিনের বাবা-মা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ২ ভরি স্বার্ণ প্রদান করে।
পুনরায় যৌতুক লোভী স্বামী নুর হোসেন বিদেশে যাবার কথা বলে ২০১৮ সালে ৩ লক্ষ টাকা দাবি করে স্ত্রীকে বাবার বাড়ী পাঠিয়ে দেয়। পরে মেয়ের সংসারের শান্তি বজায় রাখার জন্য তার বাবা-মা বাড়ী বন্ধক রেখে টাকা দেয়। আবারও বিদেশ থেকে নুর হোসেন ছুটিতে এসে আরও যৌতুক দাবি করে। যৌতুক না দিলে শিরিনকে তালাক দেওয়ার ঘোষনা দেয়। অন্যত্র বেশি যৌতুক নিয়ে বিয়ে করার ঘোষনা দেয়।
এদিকে বার বার যৌতুকের চাপ দেয়া স্বামী নুর হোসেন অন্যত্র বিয়ে করে সংসার করছে বলে স্ত্রী শিরিন জানতে পারে।
এদিকে স্ত্রী শিরিন আক্তার জানান, আমার স্বামী অন্যত্র বিয়ে করে সংসার করছে আর আমি না খেয়ে কষ্ট করে দুই সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ীতে পরে আছি। এই শোকে আমার বাবাও মারা গেছে। তাই আমি ন্যায় বিচার পাওয়ার আসায় আদালতে মামলা করেছি। এখন আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছ্ কিন্তু সে যদি জামিনে বের হতে পারে তাহলে আবারও বিদেশ চলে যাবে তখন আমার আর কোন উপায় থাকবে না।
আমি দুই সন্তান নিয়ে কোথায় যাবো। বাবার শেষ সম্বল বাড়ি টুকু স্বামীর জন্য বন্ধক রেখেছি। সেটাও হাত ছাড়া হয়ে যাবে। আমার সন্তানদের নিয়ে রাস্তায় নামা ছাড়া আর কোন পথ থাকবে না। বিজ্ঞ আদালতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে আমার বাচ্চাদের ভবিষ্যত¦।