দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ স্বামীহারা মঙ্গলী রানীর দুই মেয়ে ছিল সম্বল। তাদের নিয়েই নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার লালখাঁ এলাকায় বাস করতেন তিনি। গার্মেন্টসে চাকরি করে কোনোরকমে চলতো তার সংসার।
এরই মধ্যে বড় মেয়ে পূর্ণিমা জন্ডিসে আক্রান্ত হয়। কিন্তু সময় সুযোগ ও টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না। তাই শুক্রবার ছুটির দিনে মেয়েকে নিয়ে স্থানীয় কবিরাজের কাছে যাচ্ছিলেন চিকিৎসার জন্য।
কিন্তু কে জানতো এটাই মঙ্গলী রানীর শেষযাত্রা হবে। মেয়েকে নিয়ে কবিরাজের কাছে যাওয়ার সময় দেয়ালচাপা পড়েন। মেয়েটা বেঁচে গেলেও মঙ্গলী রানী বাঁচতে পারেননি। দেয়ালচাপা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মেয়েটি বেঁচে গেলেও হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে।
কথাগুলো বলছিলেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জমে থাকা গ্যাসে বিস্ফোরণে নিহত মঙ্গলী রানীর ভগ্নিপতি নগেন্দ্র বিশ্বাস।
তিনি বলেন, ‘স্বামী চলে যাওয়ার পর থেকেই গার্মেন্টসে চাকরি করে দুই মেয়েকে নিয়ে কোনোভাবে সংসার চলে যাচ্ছিল মঙ্গলী রানীর। এখন সে দুই মেয়েকে রেখে চলে গেলো। জানিনা দুই মেয়ের এখন কী হবে। ভগবান তাদের রক্ষা করুক।’
এর আগে, শুক্রবার (১২ নভেম্বর) সকালে লালখাঁর মোড়ে মোক্তার মিয়ার পাঁচতলা ভবনের নিচতলার ফ্ল্যাট বাসায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দেয়ালচাপা পড়ে নিহত হন মঙ্গলী রানী।
ফতুল্লা এলাকার তিতাস গ্যাস কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নিয়মিত গ্যাসের লিকেজ চেক করি। আমরা এখান থেকে গ্যাস লিকেজের লিখিত মৌখিক কোনো অভিযোগই পাইনি। তবে জমে থাকা গ্যাস থেকে যদি বিস্ফোরণ হয় তাহলে সেটা রান্না করার চুলা থেকে জমেছে। চুলার গ্যাস বন্ধ না করে কেউ ঘুমিয়ে গেলে সকালে চুলা জ্বালানোর সময় বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে।