দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের জাতীয় পার্টির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকে মোঃ আবুল হাসেমের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নৌকার আব্দুর রশিদ মোল্লা ও সোনারগাঁ বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ নির্বাচন অফিসারের বরাবর।
শনিবার(২০ নভেম্বর)এনিয়ে দুপুরে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সাদিপুর ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের বরাবর শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের দাবীতে একটি দরখাস্ত প্রদান করেন লাঙ্গল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী।
অভিযোগে মোঃ আবুল হাসেম উল্লেখ করেন,সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকে মোঃ আবুল হাসেমের নির্বাচনী মাঠে আচরণবিধি মেনে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মী-সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা এযাবৎ করে এসেছে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকে আব্দুর রশিদ মোল্লা,কর্মী-সমর্থকরা, সাবেক সংসদ সদস্য (নারায়ণগঞ্জ-০৩) ও সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়সার,সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম নান্নু ও মাহফুজুর রহমান কালাম সহ তাসফিরুল হক অনু ও তারা তাদের বহিরাগত লোকজন নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন সময় কর্মীদের সাথে খারাপ আচরণ করে ও মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে যাচ্ছে।
তাদের বক্তব্য ভিডিও কলে ধারন করা আছে। ঢাকা প্রধান নির্বাচন কমিশনার এর মাইকের ঘোষনা শুনে ক্ষীপ্ত হয়ে লাঙ্গল প্রতীকের ব্যানার ও পোস্টার ছিরে ফেলতেছে। এতে ইউনিয়নের বড় ধরনের প্রাণহানির মতো সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। এই ঘটনার দ্রুত সমস্যা সমাধান না করলে ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নৌকার সমর্থকরা আগামী ২৫ তারিখ থেকে লাঙ্গলের কোন কর্মীকে মাঠে থাকতে দিবে না বলেও হুমকি প্রদান করেছে।
উল্লেখ্য যে গত ১৯ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে জামপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মালিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জামপুর ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী হুমায়ুন কবিরের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা উপলক্ষে এক জনসভায় জাতীয় পার্টি থেকে যারা সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছে তাদের প্রতিহত করার জন্য নেতারা তাদের বক্তব্যে কঠোরভাবে হুসিয়ারী প্রদান করেছেন।
সেই সভায় সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত বলেন, আগামীকাল থেকে লাঙ্গলের প্রার্থী যাতে কোন গ্রামে, কোন ওয়ার্ডে ও কোন কেন্দ্রে যেতে না পারে সেটা আমাদের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা দেখবে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এখানে নৌকার বিজয় হবে এটাই নিশ্চিত। আমরা আগামী ২৮ তারিখে নির্বাচনে মাধ্যমে বুঝিয়ে দিবো জামপুরের মাটি আওয়ামী লীগের ঘাটি।
মাহফুজুর রহমান কালাম বলেন, জাতীয়পার্টি কেন্দ্র দখল করে নির্বাচন করার পায়তারা করছে। তারা সোনারগাঁয়ে ৪জন প্রার্থী দিয়েছিলেন। এর মধ্যে রাতের আধারে একজনকে ম্যানেজ করে বসিয়ে দিয়ে আইন ভেঙ্গে ফেলছেন যেহেতু বাকিগুলো বসাইয়া আমাগো রাস্তা সোজা করে দেন। নয়তো আগামী ২৮ তারিখ নয় আগামীকাল থেকে যেখানে লাঙ্গলের প্রার্থীকে পাবেন সেখানে তাকে প্রতিহত করবেন।
ডা: আবু জাফর বিরু বলেন, গত কয়েকদিন আগে আমার কয়েকটা ফোন আসছিল। আমি ধরি নাই। পরে জানলাম তিনি এমপি। তিনি এসেছেন লাঙ্গলের ভোট চাইতে পরে এলাকাবাসীর বাধাঁর মুখে তিনি ফিরে গেছেন। প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন এমপি সাহেবের পত্মী কি কোন দলের পদে আছেন তাহলে তিনি কিভাবে ভোট চান। প্রশাসন কি দেখে না। প্রশাসন শেখ হাসিনার তাই নৌকার স্বার্থে এসব প্রতিহত করতে হবে।