দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ আদমজী ইপিজেডে অবস্থিত কুনতং এ্যাপারেলস লিঃ ফ্যাশন সিটি’র শ্রমিকেরা আজ সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে ১৯নভেম্বর ২০২১ শুক্রবার বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে। সমাবেশে কারখানার শ্রমিক মঞ্জুআরার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব , গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ,
গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি হাসান মাহামুদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক সভাপতি সুলতানা আক্তার, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি রুহুল আমিন সোহাগ, ফতুল্লা থানার তল্লা আঞ্চলিক শাখার উপদেষ্টা কামাল হোসেন, কাচঁপুর শিল্পাঞ্চল শাখার সহ-সভাপতি আনোয়ার খানঁ , গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাংস্কৃতিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, কারখানা শ্রমিক সীমা, আসমা, জেসমিন, তানিয়া ও বিলকিস প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ফ্যাশন সিটি মালিক কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বেপজা আইন অনুযায়ী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২১ অক্টোবর ১ মাস কারখানা লে-অফ করে। পরবর্তীতে আরও ৩ মাস অবৈধভাবে বেপজা আইন লঙ্ঘন করে কারখানা বন্ধ করে রাখে। তারপর কারখানার শ্রমিকেরা গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের শ্রম আইন মেনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ১২ জানুয়ারী মালিক কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে ৭ দফার ভিত্তিতে লাগাতার কঠোর কর্মসূচী পালন করে। ৩ ফেব্রুয়ারী আদমজী ইপিজেড কর্তৃপক্ষ, ৫ ফেব্রুয়ারী সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি এবং ৮ ফেব্রুয়ারী নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে।
তীব্র আন্দোলনের ফলে বেপজা কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ১৫,১৬ ও ১৭ তারিখে শ্রমিকদের আইনগত প্রাপ্য পাওনা ১০০ শতাংশ থেকে ৩৬ শতাংশ পরিশোধ করে আরও ৬৪ শতাংশ বকেয়া প্রাপ্য পাওনা রয়েছে। শ্রমিকদের পে-স্লিপ দেয় ও অঙ্গীকার করে বেপজা কর্তৃপক্ষ বলে বকেয়া প্রাপ্য পাওনা আমরা অচিরেই পরিশোধের ব্যবস্থা করব কিন্তু আজ পর্যন্ত বকেয়া আইনগত প্রাপ্য পাওনা শ্রমিকেরা পায় নাই। বক্তারা আরও বলেন শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, অর্জিত ছুটি, টার্মিনেশন ও মার্তৃত্বকালীন সুযোগ সুবিধার টাকা শ্রমিক কাজ করা অবস্থায় মালিকের নিকট আইন অনুযায়ী জমা থাকে, তাহলে টাকা পরিশোধে এত গড়িমসি, অজুহাত দেখিয়ে বিলম্ব কেন?
শ্রমিকদের বকেয়া প্রাপ্য পাওনা আত্মসাৎ প্রচেষ্টাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে বিচার করার দাবি জানান। ২০২১ সালের ফ্রেব্রুয়ারী থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৯ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেল আজ অবধি পরিশোধ হয় নাই কেন? ইপিজেডস্থ শ্রম আইন আলাদা করেছে সরকার মালিকদের রক্ষা করার জন্য এবং শ্রমিকেরা নিরাপদ কর্মপরিবেশ, শ্রম অধিকার নিশ্চিতভাবে যাতে পায় সেজন্য। শ্রমিকেরা তাদের পাওনা আদায়ের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করবে সেখানে শ্রমিকদের উপর হামলা তাদের নামে মামলা দেয়া হয়েছে কেন? এই ৯ মাসে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারনে বাসাভাড়া গ্যাস বিল বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিকেরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের সন্তানদের লেখাপড়া,
পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা করতে না পারা সঞ্চয় না থাকার কারনে বিপদ থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। তাহলে কি বেপজা কর্তৃপক্ষ, জেলা, শিল্প ও পুলিশ প্রশাসন মিলে শ্রমিকের অধিকার হরণ করতে চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে কি? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইপিজেড এর সমস্ত ভালোমন্দ দেকভাল করেন, তাহলে এই শ্রমিকরা আজকে রাজপথে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করছে তাদের খবর কি রাখেন না? ৬৪ শতাংশ বকেয়া প্রাপ্য পাওনা আদায় করে দেওয়ার জন্য গত ১২ নভেম্বর২১’ তারিখে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসির বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে।
অবিলম্বে শ্রমিকদের নামে অজ্ঞাত দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে বকেয়া ৬৪% প্রাপ্য পাওনা পরিশোধ করার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ অন্যথায় শ্রমিকেরা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)