দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: প্রাচ্যের ড্যান্ডি নারায়ণগঞ্জের মাটি ও মানুষের সুখে-দুঃখে যিনি নিজেকে একাকার করে ফেলেছেন তিনি এটিএম কামাল। একজন সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদ, পরিবেশবাদী নির্ভীক নেতা হিসেবে মাটি ও মানুষের কল্যাণে কখনও তিনি প্রশংসিত, কখনওবা সমালোচিত। মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তিনি কখনও আপোষ করেননি।
অন্যায় আর স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন নিঃশঙ্ক চিত্তে। কখনও রাজপথে, কখনও শহীদ মিনারে, প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে, মিছিলে, সমাবেশে, অনশনে অবিচল তিনি। স্বার্থান্বেষীদের রক্তচক্ষু, হামলা, মামলা, জেল, জুলুম হুলিয়া থামাতে পারেনি তাকে। তাইতো সমালোচকেরা বলে, থামতে জানে না এটিএম কামাল। সিডরের স্বজনহারা অসহায় মানুষ আর বানভাসি ক্ষুধার্ত শিশুদের মুখে অন্ন তুলে দিতে ছুটে যান জীবনকে বাজি রেখে। থামতে না জানা এক অকুতোভয় সেনানীর নাম এটিএম কামাল।
১৯৫৮ সনের ৭ মে ঐতিহাসিক জনপদ প্রাচীন বাংলার রাজধানী সবুজে ঘেরা নদীবেষ্টিত সোনারগাঁ-এর বারদীর মসলন্দপুর গ্রামে এটিএম কামালের জন্ম। সবুজের আহ্বান, মেঘনার পালতোলা নৌকার সারি আর বিলের সাদা কাশফুলের বনে এখনও হারিয়ে যায় তার মন। মটরশুটির ক্ষেত, বিলে মাছ ধরা, বৈশাখী ঝড়ে আম কুড়ানো, সেই দিন, সেই সময় কামালকে আজও স্বপ্নে ভাসায়।
এটিএম কামালের বাবা-মা দু’জনেই শিক্ষকতা করতেন বারদী রিবর গার্লস স্কুলে। স্কুলের আঙ্গিনাতেই কোয়াটার। কিন্তু কামালের শিশুবেলা কেটেছে মসলন্দপুর দাদীর কাছে। স্কুলে যাবার যখন বয়স হল বাবা-মা কামালকে নিজেদের কাছে নিয়ে এলেন। বাবা-মা’র কাছে শৃঙ্খলার জীবনে এসে হাঁপিয়ে উঠে কামাল।
মুক্ত জীবন থেকে বারদীতে এসে তাঁর দমবন্ধ হওয়ার যোগার। সুযোগ পেলেই পালিয়ে দাদা-দাদীর কাছে ছুটে যায়। কিংবা স্কুল ফাঁকি দিয়ে সারাদিন গাছে গাছে পাখির ছানা খুঁজে বেড়ানো, ঝোপে-ঝাড়ে ঢুকে শিয়ালের বাসায় হানা দিয়ে বাচ্চা ধরা, বাজারের ঘাটে বেদেদের আস্তানায় বসে শুকপাখির গল্প শোনা। বারদী বাজারের পশ্চিম প্রান্তে লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রম। আশ্রম চত্ত্বরে বিশাল বকুল গাছের তলায় সংসারবিরাগী সন্ন্যাসীদের আস্তানায় বসে থাকা।
মুখভর্তি দাড়ি-গোঁফ, মাথায় জট, গেরুয়া বসন, ঢুলু-ঢুলু চোখ, হাতে ত্রিশূল, লোহার বড় চিমটা বা একতারা – সংসারবিরাগী ছিন্নমূল এই মানুষগুলোর প্রতি কামালের ছিল দুর্নিবার আকর্ষণ। সময়ে অসময়ে চলে আসে তাদের আসরে। শোনে যাযাবর জীবনের নানা উপাখ্যান। আবার কখনওবা একতারা বা খোলের তালে পাগলপারা বাউল গান।
একদিন আশ্রমের পাশে বাজারের খেলার মাঠে অনেক লোকের জটলা দেখে কৌতূহলী কামাল এক দৌড়ে সেখানে উপস্থিত হলেন। শুনলেন জীবনের প্রথম শ্লোগান- ‘জেলের তালা ভাঙ্গব, শেখ মুজিবকে আনব’। তারপর ’৬৯-এর গণআন্দোলন, ’৭০-এর অসহযোগ, অত:পর ’৭১-এর ২৫ মার্চের ভয়াল কালরাত। ঢাকায় রাতের আঁধারে ঘুমন্ত মানুষের উপর ঝাপিয়ে পড়েছে পাক হানাদার বাহিনী।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে জীবন বাঁচাতে বারদীতে পালিয়ে এসেছে শত শত মানুষ। নগর জীবনে এই মানুষগুলো বর্বর পাকিস্তানীদের তাড়া খেয়ে বেরিয়ে পড়েছে। এই সব মানুষেরা আশ্রয় নেয় বারদীর লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রমে এবং বাজারের বটবৃক্ষের নিচে। কামাল ও তার কিশোর বন্ধুরা মিলে এই আশ্রয় প্রার্থী অসহায় মানুষদের জন্য পানি, খাবার ও ঔষধসহ সবকিছুর ব্যবস্থা করে। বাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের সহায়তা করে উদার হাতে। বর্বর হায়েনারা হত্যা করছে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ, ট্রাক ভরে নিয়ে যাচ্ছে যুবতীদের। এসকল কথা শুনে প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে ওঠে কিশোর কামাল।
স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের বজ্রকণ্ঠের ভাষণ শুনে রক্ত টগবগ করে ওঠে। মেজর জিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা বাঙ্গালীর আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে দেয় হাজার গুণ। কামাল ও কয়েকজন বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত নেয় মুক্তিযুদ্ধে যাবার। কিন্তু বুঝে উঠতে পারছিল না তারা কোথায় যাবে, কি করবে? সুযোগ এলো একদিন। সোনারগাঁয়ের সন্মানদিতে মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং ক্যাম্প খোলা হয়েছে। এক রাতে কয়েকজন সহপাঠীকে নিয়ে সেই ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে ঘর ছেড়ে পালালো কামাল। শুরু হলো এক নতুন জীবন।
দিনে ট্রেনিং, রাতে পালা করে পাহারা। রোমাঞ্চিত সে। কাঁধে অস্ত্র নিয়ে গর্বিত ভঙ্গিতে হেঁটে বেড়ায় কিশোর কামাল। কোন একটা অপারেশনে যাওয়ার জন্য ছটফট করেন। কিন্তু কিশোর বলেই তাকে কোন অপারেশনে নেয় না তার কমান্ডার। এর মাঝেই সোনারগাঁয়ে হেলিকপ্টারে করে মিত্র বাহিনী অবতরণ করলো। কাঁধে ভারি গুলির বাক্স নিয়ে ঢাকার পথে মিত্র বাহিনীকে এগিয়ে দিচ্ছে কামালসহ অগণিত কিশোরের দল।
দেশ স্বাধীন হলো। সপরিবারে বারদী ছেড়ে নারায়ণগঞ্জ চলে আসলেন কামালের বাবা-মা। বার একাডেমীতে ভর্তি করানো হলো তাকে। কিন্তু ছেলেবেলার স্কুল পালানোর স্বভাব তার শহরে এসেও গেলো না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্কুলে বসে থাকা তার ধাতে সয়নি। বই খাতা নিয়ে স্কুলে যাবার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে চলে গেছে শীতলক্ষ্যার তীরে। সারাদিন পানিতে দাপাদাপি। বিকালে ক্লান্ত হলে ঘরে ফেরা। আবার কোনদিন ট্রেনের ছাদে চড়ে বিনা টিকিটে ঢাকা ভ্রমণ। ফিরতি ট্রেনে চাষাড়া নেমে চাঁদমারীর মাঠে ডাঙ্গুলি খেলা। টিলার চূড়ায় বসে হেড়ে গলায় জারি গান গাওয়া।
বিকেলে বই-খাতা বগলে নিয়ে সুবোধ বালকের মতো ঘরে ফেরা। এই ফাঁকি বেশিদিন চললো না। পরীক্ষার খাতায় সব শূন্যের ভার সহ্য করতে না পেরে ঘর ছেড়ে পালালো কামাল। বাবা-মা’র শত শাসন সত্ত্বেও স্কুলের লেখাপড়াটা তার শেষ হলো না। দুশ্চিন্তায় পড়লেন তারা।
বোহেমিয়ান ছেলের বিক্ষিপ্ত মনকে শান্ত করতে মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে দিলেন তার জীবন। শুভ প্রণয়ে আবদ্ধ হলেন কামাল। পাইকপাড়া নিবাসী মরহুম আব্দুল আলীর কন্যা কেয়া’র সাথে।
এর কিছুদিন পরই কামাল জীবিকার সন্ধানে বিদেশে পাড়ি জমালেন। ভারত-পাকিস্তান হয়ে ইরানের একটি সিরামিক কারখানায় অদক্ষ শ্রমিকের কাজ করলেন বছরখানেক। তারপর পাড়ি জমালেন স্বপ্নের শহর দুবাই। দুবাই পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করলেন, তারপর পাবলিক হেলথ সুপারভাইজার হিসেবে তিন বছর কাজ করেন সেখানে। এ তিনটি বছর একটি আধুনিক পৌরসভা ও নগর সম্পর্কে তার সম্যক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার ভা-ার সমৃদ্ধ হয়।
এরপর আরো দুটি কোম্পানিতে গণসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন দীর্ঘ সময়। ’৯৩তে দেশে আসার পূর্ব পর্যন্ত দুবাইতে নিজের ব্যবসা পরিচালনা করেন কামাল। পাশাপাশি দুবাইতে প্রবাসী বাঙ্গালীদের কাছে একজন সমাজকর্মী হিসেবে খ্যাতিলাভ করেন।
নারায়ণগঞ্জের মাটি ও মানুষের জন্য প্রচ- ভালোবাসা, চিরসবুজ সেই শীতলক্ষ্যার পাড়, আর চিরচেনা পথ-ঘাটের স্মৃতি কামালকে পীড়া দিত। তাই দুবাইয়ের সুখ, নিরাপত্তা, বিলাসী জীবনের লোভকে পাশ কাটিয়ে ১৯৯৩ সালে ফিরে আসেন নারায়ণগঞ্জে।
ঐ সময় নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, চাঁদাবাজী ও মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত হতে দেখে তিনি দুঃখিত ও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেন। একসময় নিজেও সন্ত্রাসের শিকার হলেন। কিন্তু রুখে দাঁড়ালেন এটিএম কামাল। নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদক মুক্ত করতে সামাজিক আন্দোলন শুরু করলেন। পাশাপাশি এসময় যুবদলের একজন অকুতোভয় মাঠকর্মী হিসেবে তিনি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন।
নারায়ণগঞ্জে অসংখ্য সফল রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে ব্যাপক আলোচিত হন তিনি। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনের দাবিতে সমাজের সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে একটি সফল আন্দোলনের নেতৃত্বও দেন এটিএম কামাল। ১/১১ এ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও মরহুম আরাফাত রহমান কোকো’র মুক্তির দাবিতে টানা ১২দিন অনশন, রাজউকের গ্রাস থেকে নারায়ণগঞ্জ ও ফতুল্লার জমি রক্ষার দাবীতে অনশন, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ঢাকার মুক্তাঙ্গন থেকে পায়ে হেঁটে (সাড়ে তিনশত কিলোমিটার) সিলেট জকিগঞ্জের অমলসিদ (ভারত সীমান্ত) সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর মোহনা ত্রিগঙ্গা পর্যন্ত পদযাত্রা কর্মসূচি, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে এবং খুনীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেয়ার দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার অনশন, সুন্দরবন বাঁচাও-বাংলাদেশ বাঁচাও ‘‘রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবন থেকে নিরাপদ দুরত্বে সরিয়ে নাও!’’ এই স্লোগানে রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যূৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ থেকে (৬ দিনে ২২৫ কিলোটিমার) পথ হেঁটে রামপাল ফয়লাহাট পর্যন্ত পদযাত্রা কর্মসূচি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার পর এটিএম কামাল কাফনের কাপড় পরে আন্দোলনে নামেন।
তিনি পরিবেশবাদী মানবাধিকার সংগঠন নির্ভীকের প্রধান সমন্বয় হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থেকে তিনি শীতলক্ষ্যা নদী দূষণ ও দখলের প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্য দিকে সোনারগাঁ নাগরিক কমিটির সভাপতি হিসেবে তিনি সোনারগাঁ তথা পানাম নগরীর ঐতিহাসিক স্থাপনা সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলন করেছেন। পানাম নগরীর জমি বিক্রি বিক্রি বন্ধ ও পুরাকীর্তি সংরক্ষণ, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা সহ ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে একাধিক ফুট ওভার ব্রীজ নির্মান, সোনারগাঁয়ের শহীদ মুক্তিযুদ্ধাদের স্মরনে একটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ সহ অসংখ্য নাগরিক আন্দোলনের তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এটিএম কামাল দায়িত্ব পালন করেছেন নারায়ণগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সংগঠনের, প্রতিষ্ঠা করেছেন বিভিন্ন পেশাজীবী ও ব্যবসায়ী সংগঠন-নাগরিক কমিটি, নারায়ণগঞ্জ নগর উন্নয়ন কমিটি, পার্ক বাস্তবায়ন পরিষদ, সোনারগাঁ নাগরিক কমিটি, নারায়ণগঞ্জ জেলা উন্নয়ন পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ মাদক নির্মূল ফোরাম, নারায়ণগঞ্জ ফুটবল একাডেমী ও নির্ভীকের মতো পরিবেশবান্ধব বহুল আলোচিত নাগরিক সংগঠন।
দায়িত্ব পালন করেছেন মহসিন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হিসেবে, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটি ও জেলা মাদক নিয়ন্ত্রন কমিটির সদস্য ও জেলা ক্রীড়া সংস্কার যুগ্ম সম্পাদক এবং ফুটবল সম্পাদকের, দুবাইতে থাকাকালীন তিনি দুবাই বাংলাদেশী বিজনেস ম্যানস্ ফোরামের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন।
প্রবাস থেকে দেশে ফিরে দীর্ঘ ১৭ বছর তিনি অসংখ্য সফল সামাজিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। মানুষের বিভিন্ন দাবী নিয়ে দল-মত নির্বিশেষে নেমেছেন রাজপথে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নারায়ণগঞ্জ পৌর নির্বাচন ও সিদ্ধিরগঞ্জকে পৌরসভা ঘোষণার দাবী, উদ্যান বা শিশুদের বিনোদন পার্ক, শীতলক্ষ্যা বাঁচাও আন্দোলন, শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন, সড়ক ও রাজপথ সংস্কার, শীতলক্ষ্যা সেতুর দাবী,
শহরের সোডিয়াম বাতি সংস্কার ও পূর্ণাঙ্গ শহীদ মিনার বাস্তবায়ন, বিজয়স্তম্ভ নির্মাণ, দিগুবাবুর রাজার আধুনিকীকরণ, মিরজুমলা সড়ক অবমুক্তকরণ, বাস ও ট্রাক টার্মিনাল শহরের বাইরে স্থাপন, ঈশা খাঁ’র কেল্লা সংস্কার ও সংরক্ষণ, মেডিকেল কলেজ স্থাপন, পানাম বাঁচাও আন্দোলন, জেলার ঐতিহাসিক স্থাপনা সংস্কার ও সংরক্ষণ, সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়ার চৌরাস্তাসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একাধিক ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণ, ফতুল্লা স্টেডিয়ামকে ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক ভেন্যু করার দাবী, হীরালাল, বোয়ালিয়া খালসহ সকল সরকারি খাল অবমুক্তকরণ ও অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল সড়কের পাশ দিয়ে নারায়ণগঞ্জ-টঙ্গি ডাইভারসন সড়ক বাস্তবায়ন, একটি সুইমিং কমপ্লেক্সসহ ইনডোর স্টেডিয়াম স্থাপন, ব্রহ্মপুত্র নদীর উপর কাইক্যারট্যাক সেতু বাস্তবায়ন, শিশু একাডেমী ও শিল্পকলা একাডেমীর নিজস্ব ভবন তৈরি,
সোনারগাঁয়ে ভূমি দস্যুদের কবল থেকে অসহায় কৃষক পরিবারদের কৃষি জমি ও বসতভিটা রক্ষার আন্দোলন, ডিএনডির জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবী, আদমজীতে একটি আইটি পল্লী স্থাপন, একটি আধুনিক মর্গ (লাশ ঘর) এর দাবী, ফতুল্লা থেকে বক্তাবলী ফেরি চালু, রাধানগর ও প্রসন্ননগরে বিদ্যুতের দাবী, বক্তাবলী ’৭১এর গণহত্যা স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁকে পর্যটন রাজধানী করার দাবী, ঐতিহাসিক গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড সংস্কারের দাবীসহ অসংখ্য সফল সামাজিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক,
এটিএম কামাল স্বপ্ন দেখেন ও দেখান। তিনি স্বপ্ন দেখেন একটি সুন্দর সবুজে ঘেরা পরিবেশ, দূষণমুক্ত শীতলক্ষ্যা, মেঘনা ও ধলেশ্বরি, বুড়িগঙ্গাবেষ্টিত নারায়ণগঞ্জের। যেখানে থাকবে আবালবৃদ্ধবণিতার চিত্ত বিনোদনের জন্য বিশাল বিশাল উদ্যান ও শিশুপার্ক, থাকবে সকল নাগরিক সুবিধা, যানজটমুক্ত, পরিবেশ দূষনমুক্ত পরিচ্ছন্ন নগরী। থাকবে মেডিকেল কলেজ, আরো থাকবে ছিন্নমূল হকারদের জন্য পুনর্বাসন প্রকল্প ও ভাসমান বস্তিবাসী ও নিম্নবিত্তদের জন্য স্থায়ী ঠিকানা। পাড়ায় পাড়ায় পাঠাগার ও কমিউনিটি সাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। ঐতিহাসিক জনপদ প্রচীন বাংলার রাজধানিী সোনারগাঁ ও আধুনিক সুন্দর নগরী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ হবে দেশবাসীর কাছে একটি মডেল। থাকবে না মাদক, থাকবে না সন্ত্রাস, থাকবে না কোন নোংরা রাজনীতি। শুধু থাকবে সাধারণ মানুষের মুখে হাসি- পরিতৃপ্ত হাসি।