দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: আসন্ন নাসিক নির্বাচন উপলক্ষ্যে ১৩নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী রবিউল হোসেনের নির্বাচনী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার(১৪ ডিসেম্বর)বাদ আসর গলাচিপাস্থ ঘোড়াপাড়ায় কাজী রানার উদ্যোগে এ উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
সমাজ সেবক আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ এনামুল হক খোকার সঞ্চালনায় উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কাজী মোহাম্মদ আসলাম মিয়া, মিয়া চান, শারজাহান প্রধান, কাজী রানা, কাজী রবিন, মজিবুর রহমান, সাংবাদিক আলমগীর আজিজ ইমন,
যুবলীগ নেতা পলাশ আহমেদ, যুবদল নেতা মিঠু আহমেদ, মাসুম, আরিফ হোসেন শহিদ, আশরাফ আলী, মোঃ রিপন, জনি আহমেদ, মহিলা নেত্রী লূৎফর নেছা লূৎফা, আনসার আলী আন্সু, দিনা, কদু সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তবর্গ।
এ উঠান বৈঠকে কাউন্সিলর প্রার্থী রবিউল হোসেন বলেন, দীর্ঘ দিন দায়িত্বে থেকেও যিনি এলাকার জলাবদ্ধতা ধুর করতে পারেনি তাকে দিয়ে আমরা আর কি আশা করতে পারি। অথচ গত নির্বাচনে তিনি বলেছেন ১৩ নং ওয়ার্ডে ড্রেনেজ ব্যবস্থার এতো উন্নয়ন হয়েছে যে আপনারা আর জলাবদ্ধতা চোখে দেখবেন না। তারা ক্ষমতায় আশার জন্য ভোটারদের নানা উন্নয়নের কথা বলে অথচ কাজে কর্মে এর কোন মিল আমরা পাইনি।
তাদের এতোই ক্ষমতার লোভ যে এক পরিবার থেকে ৩ জনই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে চাইছে। তাদের সব ক্ষমতা চাই এখানে কারো স্থান নাই। ওয়ার্ডবাসীকে বোকা বানিয়ে অনেক খাইছেন আর সুযোগ দেয়া হবে না। এলাকাবাসী অভিযোগ করে কোন সেবার জন্য আপনার কাছে গেলে পাওয়া যায় না। আর পাবেইবা কি করে আপনার তো অনেক ভাল স্বভাব আছে। সেটা তো আমরা সবাই দেখছি। ঘর ছেড়ে এই ভাবে ডাইনে বামে সময় দিলে ওয়ার্ড বাসীকে সেবা দিবেন কি করে।
তিনি আরও বলেন, আজকে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে আমি নাকি ১৩ নং ওয়ার্ডের সকল মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রন করি। মাদকের সাথে কার স্বক্ষ্যতা রয়েছে আর কে মাদক সেবন করে এলাবাসীর কাছে সব তথ্য আছে। আর কাউকে বোকা বানিয়ে রাখতে পারবেন না। ভোটাররা এখন পরির্বতন চায় সেটা ভোটের ফলা ফলই দেখতে পাবেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি আব্দুর রহিম,বিশা মাহাজনের একটি ঐতিহ্য ছিলো।যদি কেউ মারা যেতো তাহলে তার কাফনের কাপড় দিতো।এই বিশা মাহাজনের ছেলে হলো রবিউল। তার জন্য ভিক্ষা চাওয়া হলো আমাদের জন্য ভূল। আমাদের দায়িত্ব তাকে ভোট দেওয়া।কারন আমাদের যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে খোরশেদের কাছে যেতে হয় ২০টা রিকশা ভাড়া দিয়ে খরচ করে। তাই আমরা এইবার আমাদের ছেলে রবিউলকে ভোট দিবো। যদি এইবার তাকে ভোট দেওয়া না হয় তাহলে এটা বেঈমানি হবে। আমাদের ঈমানি দায়িত্ব রবিউলকে ভোট দেওয়া। তারপর আমিও রবিউলের জন্য একটা করে ভোট ভিক্ষা চাচ্ছি। আপনেরা আপনাদের ঘরে গিয়ে বলবেন আমাদের সন্তান রবিউলকে এইবার ভোট দিতে।তাকে ভোট না দিলে
কাজী মোহাম্মদ আসলাম মিয়া,এই ওয়ার্ডে আমরা ৩ বার ভোট দিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত করেছি খোরশেদকে। এই এলাকার ভোটাররা ভোট দিয়ে তাকে বারবার নির্বাচিত করেছি কিন্তু খোরশেদ আমাদের এলাকার ছেলে না। তবুও আমরা তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছি। আমরা চাই আমাদের এলাকার ভোট এবার আমাদের ঘরের ছেলে রবিউল পাক। আমাদের যে কোন বিপদে আপদে যাকে সব সময় পাশে পাই তাকেই ভোট দিয়েই নির্বাচিত করুন। আমাদের ঘরের ছেলেকে একবার সুযোগ দেন আপনাদের সেবা করার জন্য। আপনেরা তাকে একবার সুযোগ দিয়ে দেখেন আপনেরা। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ করবো আপনেরা এইবার আমাদের ঘরের ছেলেকে দয়া করে একটা করে ভোট দেন।
তিনি আরো বলেন,খোরশেদ আমাদের যে সাহায্য করেছে তা খোরশেদের নিজের টাকায় দেয় নাই। অন্যের কাছ থেকে এনেই দিয়েছে তা প্যাকেটের গায়ে লিখা ছিলো। যেহেতু খোরশেদ কাউন্সিলর ছিলো তাই তাকেই মানুষ সাহায্যটা বুঝিয়ে দিয়েছে। যদি রবিউল থাকতো তাহলে রবিউলকেই বুঝিয়ে দিয়ে দিতো। কিন্তু রবিউল করোনার সময় নিজের টাকায় আপনাদের সাহায্য করেছে।