দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন নারায়ানগঞ্জ জেলা শাখার ২য় ও ৩য় তলার নবনির্মিত ভবনের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার(১২ ডিসেম্বর)বেলা সাড়ে ১১টায় চাষাড়া নারায়ানগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পার্শ্বেই উদ্বোধন করা হয় নবনির্মিত ভবনটি।
বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন নারায়ানগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান শ্যামলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বিকেইএমএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম উদ্বোধন করেন ভবনটি।অনুষ্ঠানের শুরুতেই নারায়ানগঞ্জ বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সদস্যের মৃত্যুতে এক মিনিট নিরবতা পালন করে পরে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ হাতেম বলেন,আমি এখানে বিকেইএমএ নির্বাহী সভাপতি হিসেবে আসিনি।আমি এখানে এসেছি আমি এই গোত্রের এই ভাইদের মত একজন ফটোগ্রাফার হিসেবে।আমি কেনো আরো কত জায়গা ছিলো সেখানে সম্পৃক্ত না হয়ে ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাথে আমি সম্পৃক্ত হই।
আমি ফটোগ্রাফি ভালোবাসি আর এটা আমার নেশা ছিলো তাই।১৯৭৯ সালে প্রথম আমার প্রথম ফটোগ্রাফির হাতেখড়ি শুরু তাও কলকাতার ইডেন গার্ডেনে গাভাস্কারের বিদায় ম্যাচে টেস্ট দেখতে গেলাম নিক্কন ক্যামেরা নিয়ে।সেখানে আমি ছবি তুলা শুরু করি।এবং সেটা কালার ছবি।তখনো বাংলাদেশে কালার ছবি পেন্ট হতো।
শাহবাগের ত্রিপলি একটা প্রিন্টের দোকান ছিলো তারা আমাদের থেকে রেল নিতো এবং সিঙ্গাপুর থেকে প্রিন্ট করে এনে দিতো।কামাল ভাই আছে উনি এখন কানাডা থাকে নারায়ানগঞ্জ ফটোগ্রাফির সভাপতি ছিলেন।তাপস গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ছিলো,নিপু আমরা এক সাথে ছিলাম।ঢাকা ভার্সিটি ফটোগ্রাফি সোসাইটিটা পেয়ারু ভাই চালাতেন।
সেখান থেকে আমি ডিপ্লোমা করেছিলাম।১৯৮২ সালে হকি খেলায় আমি প্রথম বাংলাদেশের স্টেডিয়ামে ছবি তুললাম তারপর সাফ গেমস সহ বিভিন্ন খেলায় দেশে ও দেশের বাহিরে গিয়ে ছবি তুলতাম।বাংলাদেশ টিম দেশের বাহিরে গেলে তাদের সাথে ফটোগ্রাফার হিসেবে যেতাম ছবি তুলতে এটা একটা আমার নেশা ছিলো।
তিনি নারায়ানগঞ্জ জেলার অপসাংবাদিক দমন করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন,ফটো সাংবাদিকরা আমার কাছে গেলে আমি তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করি কারন এটা আমার নেশা ছিলো। নারায়ানগঞ্জ জেলায় অনেক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী আছে কিন্তু তাদের কাছে সাংবাদিকদের সাথে একটা ঘাটতি আছে সেটা হলো আপনেরা যদি নারায়ণগঞ্জের অপসাংবাদিক দূর করতে পারেন তাহলে নারায়ানগঞ্জ জেলায় অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তি অনেক পয়সাওয়ালা ব্যবসায়ী আছে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক তাদের কিন্তু এই সব কাজে সম্পৃক্ত করা সম্ভব।
অনেক মিথ্যা নিউজ প্রকাশ হবার কারনে কিন্তু আমরা দূরে সরে যাই তাই এখানে সাংবাদিকদের যে নেতারা আছেন তারা নারায়ানগঞ্জ থেকে অপসাংবাদিক দূর করেন।আপনেরা জানেন আমার সাথে মিডিয়ার অর্থাৎ আপনাদের সাথে জাতীয় পত্রিকা,টেলিভিশনের সাংবাদিকদের সাথে ভালো সম্পর্ক আছে।
প্রতিদিনই আমার কোথাও না কোথাও সাক্ষাতকার থাকে।তাই আপনাদের অনুরোধ করবো আপনেরা নারায়ানগঞ্জ জেলা থেকে অপসাংবাদিকদের কঠোর হস্তে দমন করেন।আপনেরা নারায়ানগঞ্জ জেলাকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে পারেন এবং অবহেলিত যুব সমাজকেও এগিয়ে নিতে পারেন সুস্থ্য ধারায় নিউজ প্রকাশের মাধ্যমে।
বক্তব্যে নারায়ানগঞ্জ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের নবনির্মিত ভবনটি উদ্বোধন করেন বিকেইএমএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা,ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ঢাকা সাধারণ সম্পদক কাজল হাজরা,ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শফিউদ্দিন আহমেদ বিটু,
ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন নারায়ানগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সভাপতি কচি আহমেদ,নারায়ানগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম,সাধারণ সম্পাদক শরিফ উদ্দীন সবুজ,সাবেক সভাপতি রোমন রেজা,সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আশরাফ,নারায়ানগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম,
সাধারণ সম্পাদক আমির হোসাইন স্মিথ,নারায়ানগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান বাদল,নারায়ানগঞ্জ জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ দীল মোহাম্মদ দীলু,নারায়ানগঞ্জ জেলা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি শহীদুল্লাহ রাসেল,মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার বিল্লাল হোসেন রবিন,ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুর রহিম,সাধারণ সম্পাদক নিয়াম মোঃমাসুম,
ফতুল্লা রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি মোঃআনিসুজ্জামান,সাধারণ সম্পাদক এ আর কুতুবে আলম,ফতুল্লা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি মোঃনুরুল ইসলাম,নারায়ানগঞ্জ বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সকল সদস্যবৃন্দ সহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক,প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।