দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নারায়ানগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদ প্রার্থী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নারায়ানগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক এড.তৈমূর আলম খন্দকার বাদে বাকি চার প্রার্থী সাবেক এমপি মোঃগিয়াস উদ্দিন,নারায়ানগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল,সিনিয়র সহ-সভাপতি এড.সাখাওয়াত হোসেন খান ও কার্যকরী সদস্য এড.সুলতান মাহমুদ সরে দাঁড়ালেন।
নাসিক নির্বাচনের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষদিন বুধবার(১৫ ডিসেম্বর) থাকলে দলীয় নির্দেশ বলে মনোনয়ন পত্র দাখিল না করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষনা দিয়েছেন ৪ মেয়র প্রার্থী।
এর আগে নাসিক নির্বাচনকে ঘেরে একই দল থেকে পাঁচ প্রার্থীর মেয়র নির্বাচন নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হলেও অবশেষে সকল সমালোচনা সমাপ্তি করেছেন বিএনপির এই পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে চার জন সরে দাঁড়ানোতে।
সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন দলীয় নির্দেশকে মান্য করে এবং দলীয় সিদ্বান্তকে সমর্থন করে নাসিক মেয়র নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
অন্যদিকে বুধবার মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষদিন এড.তৈমূর আলম খন্দকার মনোনয়ন পত্র দাখিলের সময় উপস্থিত থেকে তাকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে ঘোষনা দিয়েছেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল।
ঘটা করে সংবাদ সম্মেলন করে দলীয় নির্দেশ দেওয়ায় এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ্য থাকায় স্বেচ্ছায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এড.সাখাওয়াত হোসেন খান।
এদিকে শেষদিনে মনোনয়ন দাখিলের কথা থাকলেও মনোনয়ন পত্র জমা দেন নাই এড.সুলতান মাহমুদ।সিদ্বান্তহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।তবে এর আগে দল থেকে বহিষ্কার হলেও নির্বাচন করবেন এবং দল থেকে দেশ বড় বলে দাবী করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেনে বলে জানান তিনি।কিন্তু মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন হলেও জমা দেন নাই মনোনয়ন পত্র।
ধানের শীষ এবং এই পাঁচ জন একই দল থেকে দাঁড়ানোকেই কেন্দ্র করে হয়েছিলো শ্বাসরুদ্ধ সভা।কে হচ্ছেন শেষ নাসিকের মেয়র প্রার্থী শেষ হবে এ নিয়েই হয়েছিলো চর্চা বিএনপির মধ্যে।সবাই করেছেন দলের জন্য কাজ তাই চাচ্ছেন দলীয় প্রতীকটি দলের সমর্থনে।আর তা না হলে হবেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।তবে ইতিমধ্যেই নিজেদের মধ্যেই সৃষ্টি হয়ে গেছে দলীয়ভাবে কোন্দল।
যেখানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকে একজন হয়েছেন প্রার্থী সেখানে একই দলের পাঁচ জন এবং একই কমিটির তিন জন সংগ্রহ করেছেন মেয়র পদের মনোনয়ন পত্র।তবে শেষ পর্যন্ত কে থাকছে নাসিক নির্বাচন লড়াইয়ে তা দেখার অপেক্ষায় নারায়ানগঞ্জবাসী।সেই অপেক্ষা শেষ হয়েছে এড.তৈমূর আলম খন্দকারই হচ্ছেন মেয়র প্রার্থী নাসিক নির্বাচনে।
অন্যদিকে অনেক সিনিয়র নেতারা জানিয়েছিলেন বিএনপি থেকে ৫ জনের মেয়র পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করায় অস্বাভাবিক মনে হয়েছে।এখানে নির্বাচন করার জন্য নয়,ক্ষমতা দাপট ও নিজেদের মধ্যে আক্রোশ থাকায় একে অপরের বিরুদ্ধে মেয়র পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলো বলে মনে করছে।তবে শেষ পর্যন্ত এক জন বা একাধিক প্রার্থী থাকলেও সুবিধা করতে পারবে না বলেও মনে করছে নেতারা।কিন্তু বাকি ৪জন প্রার্থী বসে পড়েছে এটাই হচ্ছে খুশীর বিষয়।সবাই মিলেমিশে একজনকে সমর্থন দিয়ে কাজ করলে নির্বাচনে ভালো কিছু হবে বলে মনে করছেন তারা।