দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, মেয়র পদে ততই নতুন মোড়ের আবির্ভাব হচ্ছে। দলীয় ভাবে নির্বাচনে বিএনপি না গেলেও মেয়র পদে দলের নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ গ্রহনে তালিকা ততই ভারি হতে শুরু করেছে। স্থানীয় বিএনপির নেতারা একের পর এক প্রার্থী হয়ে ভোটের সমিকরনের নতুন সূচনার জন্ম দিচ্ছে।
এবারের নাসিক নির্বাচনে শুরুতেই মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, সহ-সভাপতি এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান স্বতন্ত্র প্রার্থীর তালিকায় নিজেদের আবদ্ধ করার পর শেষ বেলায় ঘুম ভেঙ্গেছে সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিনের। রোববার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের তালিকায় তিনিও নিজেকে মেলে ধরেছেন।
রোববার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী হিসেবে তিনিও মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। এবার ঘুম ভাঙ্গার পালা এ্যাড. তৈমূর আলম খন্দকারের। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে সোমবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন সংগ্রহ করবেন। অথচ বিগত নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী না পেয়ে সর্বশেষ এ্যাড. সাখাওয়াতকে সমর্থন দিয়ে ছিলেন দলটির নিতিনিধারকরা।
এবার নাসিক নির্বাচনে বিএনপি নেতাদের খায়েশ হয়েছে মেয়র হওয়ার। তবে শেষ বেলায় সবাই কি থাকবেন নির্বাচনে নাকি ভোটের সমিকরন পাল্টাতে রাতের আধারে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়াবেন তারা সেটা এখন দেখার বিষয়।
এদিকে, বিএনপি থেকে ৪ জন মেয়রপদে মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও এখনও চমক রয়েছে জাতীয় পার্টির। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে ২/১ দিনের মধ্যে আসতে পারে জাতীয় পার্টির নাম। তবে সেটা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এখনও নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। গুঞ্জনে আরও শোনা যাচ্ছে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে মেয়র পদে গিয়েছে ৫ জনের তালিকা সব কিছু ঠিক ঠাক খাকলে ২/১ এর ভিতরে এই দল থেকে সমর্থন নিয়ে আসতে পারে মেয়র পদে আরও একটি নতুন মোখ।
তবে সচেতন মহলের ধারণা,নাসিক নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র পদে প্রার্থীদের জোয়ার পাল্টে যেতে পারে পুরাত মোখ। তবে সব কিছুর পরও এবার নির্বাচনে ভোটের লড়াই মেয়র আইভীর জন্য হতে পারে অশুভ সংকেত।
কারন মেয়র আইভীর ভোটের জয়ের বড় অংশ আসে বিএনপি জামায়াত থেকে। এখন পর্যন্ত ভোটের সেই বড় অংশ হাত ছাড়া হতে যাচ্ছে মেয়র আইভীর ঝুলি থেকে। এরপর মরার উপর খারার ঘাঁ গয়ে আসতে পারে জাতীয় পার্টির প্রার্থী।
তারা আরও ধারণা করছেন, এবারের নাসিক নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির একাধিক প্রার্থী অংশ গ্রহন হতে পারে আইভীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ। কারন নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে পরিচয় হীন করতে কৌশলে কার্যালয় ভেঙ্গে দিয়েছে। যার ফলে ঘরহীন বিএনপি নেতারা আজ রাস্তায় দাড়িয়ে কর্মসূচি পালন করে। এছাড়া নেতা কর্মীরা এখন অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে সাবেক সাংসদ ও মহানগর বিএনপির সভাপতি এ্যাড. আবুল কালামের নিজেস্ব অফিসকে ব্যবহার করছে।
সুতরাং মেয়র আইভীর সুকৌশলের জবাব স্বরুপ বিএনপির একাধিক প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে বিচরন করছে। আবার নির্বাচনী শেষ বেলায় বিএনপির একাধিক প্রার্থীর পরির্বতে হতে পারে একজন। তবে সব কিছুর শেষ দেখতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছু দিন।