দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২৩নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন চারজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। এরই মধ্যে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবুল কাউসার আশা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর সাইফুউদ্দিন আমহেদ দুলাল প্রধান, ২৩নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সভাপতি লিটন, বিএনপির নেতা হান্নান।
তবে এদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন আবুল কাউসার আশা। যার ফলে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে সাবেক কাউন্সিলর সাইফুউদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার রাতে মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুউদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধানকে সমর্থন জানিয়ে বসে পড়েছেন শ্রমিকলীগ নেতা লিটন। তবে শুরু থেকেই ২৩নং ওয়ার্ডবাসীর সমালোচনার মূখে ছিলেন কাউন্সিলর প্রার্থী লিটন। তিনি সাবেক কাউন্সিলর দুলাল প্রধানের ড্যামি প্রার্থী ছিলেন যা সকলেই অবগত রয়েছেন।
অবশেষে সাধারণ মানুষের সমালোচনাই সত্যি হলো বলে জানান স্থানীয়রা।
২৩নং ওয়ার্ডে যখন কাউন্সিলর দুলালের প্রতিদ্বন্দ্বী করার মত কোন প্রার্থীই সাহস পাচ্ছেনা ঠিক সেই মুহুর্তে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় কাউন্সিলর হবার খায়েশ ছিল। কিন্তু শেষ বেলায় এসে তার খায়েশ ধুলোবালি করে দিলেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি আবুল কাউসার আশা।
তিনি যখন কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ার ঘোষনা দেয়ার পর থেকে অস্তিত্ব সংকটে পড়ে যায়। কেননা বিএনপির এই প্রার্থী আবুল কাউসার আশা সাবেক সাংসদ আবুল কালামের পুত্র তার চাচাও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল।
তাদের রয়েছে এক শক্তিশালী ভোট ব্যাংক। এমনি দুলাল প্রধানকে নির্বাচনে পরাজয় করতে আওয়ামীলীগরে একাধিক শক্তিশালী গ্রুপ কাজ করছে।
এছাড়াও কাউন্সিলর দুলাল প্রধানের বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক মামলাও সহ নানা অভিযোগে। যার ফলে এবার ২৩নং ওয়ার্ডে ব্যাপক ভাবে ভরাডুবির আশংকা রয়েছে বলে ধারণা করছে ভোটারা।