দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: আগামী ১৬ই জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওর্য়াডে নির্বাচন। এরই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতি ঘেসা অনেক নেতাই নিজ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সেই সাথে রয়েছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতাও। আর এই তালিকায় রয়েছেন বর্তমান দায়িত্ব পালন করা সব কাউন্সিলররাও। তাই ভোটের লড়াইয়ে জয়ের মালা ছিনিয়ে আনতে যার যার অবস্থান থেকে নির্বাচনী কৌশল অবলম্বন করে যাচ্ছেন সম্ভব প্রার্থীরা।
এদিকে, এবারের নাসিক নির্বাচনে অধিকাংশ ওয়ার্ডেই বিএনপি ঘেসা রাজনৈতিক দলের নেতার চেয়ে আওয়ামী ঘরের একাধিক নেতা ভোটের লড়াইয়ে অংশ গ্রহন করার জন্য প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যার ফলে সুস্থ্যধারার নির্বাচন হলে জয়ের মালা বিএনপি ঘেসা কাউন্সিলর প্রার্থীর গলায় পরার সম্ভবনা অনেক বেশি।
এবারের নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে নাসিক ৮নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর সহ ৪ জন। রুহুল আমিন মোল্লা,মহাসিন ভূইয়া, সালাউদ্দিন ও এ্যাড. মুন্না আর বিএনপি থেকে ১ জন সাগর প্রধান।
এক্ষেত্রে ১১নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের রয়েছে ২ জন। বর্তমান কাউন্সিলর ঝন্ঠু ও যুবলীগ নেতা রিয়েল আর বিএনপি থেকে রয়েছে ২ জন অহিদুল ইসলাম ছক্কু ও মহাসিন উল্লাহ।
এছাড়াও নাসিক ১৩নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ৪ জন। রবিউল হোসেন, ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ, সাখাওয়াত রানা, সায়েক আর বিএনপি থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দাকার খোরশেদ।
অপরদিকে, নাসিক ১৪নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ৩ জন। বর্তমান কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, মনিরুজ্জামান মনির, মাসুম আহমেদ আর বিএনপি থেকে শুধু দিদার খন্দকার।
এদিকে নাসিক ১৮নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ৩ জন এদের মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর কবির হোসেন, কামরুজ্জামান মুন্না, জাবেদ হোসেন। আর তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা মামুন এম এইচ।
এবারের নাসিক নির্বাচনে মাত্র ৫ টি ওয়ার্ডের হিসেবে অনুশারে আওয়ামীলীগের ১৫ জন প্রার্থীর সাথে ভোটের লড়াইয়ে অংশ গ্রহন করছেন মাত্র ৬ জন।
এ বিষয় আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থী বলেন, বিএনপি মাইক হাতে পেলেই বলে দেশে গণতন্ত্র নাই, মানুষের ভোটাধিকার নাই। যদি তাই হতো তাহলে নাসিক নির্বাচনে কিভাবে বিএনপির রাজনীতি করে আমাদের সাথে ভোটের লড়াইয়ে অংশ গ্রহন করে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশে গণতন্ত্র ছিলো ভবিষ্যত্বেও থাকবে। বিএনপি যা বলে তা দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে বলে। দেশের শান্তি নষ্ট করাই বিএনপির কাজ। কারন তারা কখনই সুস্থ্য ধারার রাজনীতিত্বে বিশ^াসী না।
এ বিষয় বিএনপির একাধিক প্রার্থীরা বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এদেশের খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের নেতা। বিএনপির জন্ম হয়েছে সিপাহী জনতার বিপ্লবের ফলে। আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপোষ না করার কারনেই সরকারের মিথ্যা মামলায় কারাগারে।
তারা আরও বলেন, এই অবৈধ সরকার নির্বাচনের নামে জনগনের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। সেটা আমাদের কথা নয় সারা বাঙ্গালী জাতির কথা। তারা মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে প্রশাসনের উপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছে।
তারা অবৈধ ভাবে নির্বাচনে জয়ী হয়ে রক্তচোষা জোগের ন্যায় দেশের মানুষকে লুট করে খাচ্ছে। তাই এলাকাবাসীর অধিকার আদায়ের জন্য প্রতিবাদ স্বরুপ আমাদের নির্বাচনে অংশ গ্রহন করা।