দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: আগামী ১৬ই জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহন করবে না এমনটাই সিদ্ধান্ত রয়েছে দলটির নীতি নিধারকদের। তবে শেষ বেলার ঢেউ আর রাজনৈতিক কৌশলতাকে কাজে লাগিয়ে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেন কিনা। তা দেখতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছু দিন।
এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে শেষ পর্যন্ত মেয়রপদে বিএনপি অংশগ্রহন না করলেও কাউন্সিলর পদে থাকছে দলটির বহু নেতা। যারা বিএনপির জন্য রাজপথের লড়াকু সৈনিকের ন্যায়্য অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দলের অবস্থান শক্তিশালী করতে। আবার অনেকেই নাম মাত্র বিএনপি নেতা হলেও ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁত করে নিজের আখের গুছাতে থাকছেন নির্বাচনে। কেউবা রয়েছেন বর্তমান দায়িত্বশীলতার কাতারেও।
এবারের নাসিক নির্বাচনে বিএনপির রাজনীতি করা যে সকল নেতারা কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তারা হলেন,
মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ যিনি ইতিমধ্যেই চলমান ধারায় ১৩নং ওয়ার্ডে ৩ বার দায়িত্ব পালন করেছেন নিষ্ঠার সাথে। আর এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে সরকারী দলের সাথে আতাঁতেরও। শুধু তাই নয় করোনা বীর থেকে হয়েছেন নারী ধর্ষনের অভিযোগে অভিযুক্ত ফেরারী আসামী। তবে ওয়ার্ডবাসীকে চলমান ধারায় যে সেবা প্রদান করে আসছেন তা প্রশংসার দাবিদার।
শওকত হাসেম শকু যিনি নাম মাত্র বিএনপির নেতা হলেও প্রকাশ্যে কাজ করছেন আওয়ামীলীগের হয়ে। মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক পদে দায়িত্ব পেলেও দলের কাজে একেবারেই নিরব। অভিযোগ রয়েছে চলেন ক্ষমতাশীনদের
প্রেসক্রিপশনের বিত্তিতে। তিনিও চলমান ধারায় ১২নং ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করছেন নির্বাচিত হয়ে। তবে দলের প্রয়োজনে তাকে না পাওয়া গেলেও ওয়ার্ডবাসীর সেবায় করে যাচ্ছেন নিষ্ঠার সাথে।
মহসিন উল্লাহ তিনি এবাইর প্রথম নির্বাচনে ১১ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। করছেন মহানগর যুবদলের রাজনীতি দলের প্রয়োজনে সব সময়ই থাকছেন মাঠে ময়দানে। ইতিমধ্যেই তিনি বারংবার তার এলাকাবাসীর প্রয়োজনে ছুটে গেছেন বিভিন্ন ভাবে। কোন জনপ্রতিনিধি না হয়েও বিভিন্ন ভাবে সেবার দরজাটা খোলা রেখেন এলাকাবাসীর জন্য। তাই এবার এলাকাবাসীর অনুরোধে থাকছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে।
সাগর প্রধান তিনি এবার সহ ৩ বার নাসিক ৮নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশগ্রহন করছেন। তবে বিগদ দিনে নির্বাচন চলাকালিন সময় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে ক্ষমতাশীনদের বলি হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছে। সেই সাথে নিতে হয়েছে নির্বাচনে পরাজয়ের গ্লানী। এলাকায় রয়েছে তার বেশ সুনাম। করোনা কালিন সময় ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নিরলশ ভাবে সহযোগীতা করেছেন ওয়ার্ডবাসীকে। যার ফলে বিভিন্ন মহল থেকে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয় রাজনৈতিক অঙ্গনে রয়েছে তার বেশ সুনাম। দলের প্রয়োজনে আন্দোলন সংগ্রামে তার ভূমিকা ছিলো বেশ শক্তিশালী। বর্তমান নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবারো ৮নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
হান্নান সরকার যিনি ২১ নং ওয়ার্ডে চলমান ধারায় দায়িত্ব পালন করে আসছেন ২য় বারের মত। তিনি মহানগর বিএনপির একজন নেতা ওয়ার্ডবাসীকে সেবা প্রদানে তার নেই কোন র্কাপন্ন্যতা। ওয়ার্ডের উন্নয়নে যিনি সব সময় নিরলশ পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তবে মাঝে মধ্যে ক্ষমতাশীনদের সাথে দেখা যায় একই মঞ্চে।
অনেকের দাবি সেটা শুধু ওয়ার্ডবাসীকে সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে। তবে দলের জন্য মামলা হামলা নিযার্তন সহ বেশ কয়েকবার হয়েছেন কারাবাসী। তবুও দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেননি চুল পরিমান। ওয়ার্ডবাসীকে সেবা প্রদানের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এবারও প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সুলতান আহমেদ তিনিও চলমান ধারায় ২২নং ওয়ার্ডবাসীকে সেবা প্রদান করে আসছেন ২য় বারের মত। শুনা যায় রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিলো জাতীয়পার্টি দিয়ে। তবে বিএনপির দু:সময়েও দল ছেড়ে পারিজমাননি অন্য কোথাও। শহীদ জিয়ার আর্দশ বুকে লালন করার পর জেল জুলুম, মামলা হামলার শিকার হয়েছেন বহুবার। তবে ওয়ার্ডবাসীকে সেবা প্রদানে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। এবারও ২২নং ওয়ার্ডবাসীকে সেবার ধারা অব্যাহত রাখতে নির্বাচনে প্রার্থীদের তালিকায় থাকছেন তিনি।
মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু যিনি মহানগর বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করার পরও রয়েছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতির পদে। নাসিক ১৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন সময় এলাকাবাসীকে সেবা প্রদান করেছেন নানা ভাবে। শুধু তাই নয় আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সেবা মূলকসংগঠনের গুরুত্বপুর্ন পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন নিষ্ঠার সাথে। এবার ওয়ার্ডবাসীর সেবার মান আরো বৃদ্ধি করতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ১৬নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোটের লড়াইয়ে অংশগ্রহন করার জন্য।
মো: হান্নান মামুন এক সময়ের রাজপথের লড়াকু ছাত্রদল নেতা রাজনৈতিক মামলা ও হামলার শিকার হয়ে বেশ কয়েক বছর নিজের জন্মস্থান ছেড়ে প্রবাসী জীবনে আবদ্ধ ছিলেন। কিন্তু দেশের মায়ায় পরে ফিরেছেন নিজের জন্মস্থানে। দেশে ফিরেই তার নিজ এলাকা নাসিক ১৮নং ওর্য়াডবাসীকে বিভিন্ন ভাবে সেবা প্রদান করে আসছেন।
এবার নিজ এলাকাবাসীর অনুরোধে ১৮নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়ে ভোটের লড়াইয়ে অংশগ্রহন করবেন। তার মতে নাসিক ১৮নং ওয়ার্ড একটি গুরুত্বপুর্ন এলাকা হলেও উন্নয়ন থেকে অনেকটাই পিছিয়ে আছে তার ওয়ার্ডটি। যতটা না উন্নয়ন হয়েছে তার চেয়েও অনেক বেশি হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু কেন তার ওয়ার্ডটি তুলনা মূলক ভাবে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। তাই সব কিছুর পর এবার এলাকার যোগ্য উন্নয়নের জন্যই তিনি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবেন।