দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২০২১ উপলক্ষ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন নির্বাচন কমিশনার মোঃরফিকুল ইসলাম।
রবিবার(২ জানুয়ারি)বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জ নগরীর ক্রিস্টাল প্যালেস কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভাটি।
আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার,ঢাকা অঞ্চল ও নাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মাহফুজা আক্তারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার মোঃরফিকুল ইসলাম,বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ,জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম,জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃমতিয়ুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃরফিকুল ইসলাম বলেন,আপনাদের ভোট আপনেরা দিবেন।আমি প্রত্যেকটা কেন্দ্রে নির্দেশ দিয়ে যাবো এবং তা বাস্তবায়ন করার জন্য আমি নিজে দেখবো।এই নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশনের ভোটার তাদের ভিতর যেনো ক্ষোভের সৃষ্টি না হয় তার ব্যবস্থা আমরা করবো যাতে সবাই বলতে পারে ভালো নির্বাচন তারা দেখেছে।আপনাদের কাছে আমি অনুরোধ করে যাচ্ছি আপনেরা আমাদের নির্বাচন কমিশনের কথা শুনুন এবং তাদের সাহায্য করুন।আপনাদের প্রত্যেকটি কথা আমরা রাখবো বলে যাচ্ছি।আমি বহু লাশ দেখেছি আর কোন লাশ দেখতে চাই না।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যদি কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লাশের সৃষ্টি করে তাহলে আমরা কঠোর হবো।কারো পিস্তল দেখলেই আমরা তা নিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।আপনারা দোয়া করে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আমাদের সাহায্য করুন।
প্রার্থীদের লিখিত বিভিন্ন অভিযোগের কথা উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার বলেন,আপনেরা যে যে অভিযোগ গুলো আমাদের লিখে দিয়েছেন তা আমরা যতœ সহকারে দেখেছি। আপনাদের প্রত্যেকটি চাওয়া পাওয়া আমরা পূরণ করবো।আপনেরা বলেছেন আপনেরা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবেন কিনা? আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ আপনেরা ভোটারদের কাছে যাবেন।তারপরও যদি যেতে না পারেন আমার ম্যাজিস্ট্রেট আছে,পুলিশ আছে,র্যাব আছে বিজিবি আছে।দরকার হলে আমি আরো কিছু আনবো।কিন্তু দয়া করে আপনেরা ভোটারদের ভোট দিতে যেতে বলবেন।
ইভিএম এমন একটা ভোট মেশিন যে মেশিনে আপনে যদি ভোট দেন।তবে আপনে ফিঙ্গার দেওয়ার পর যদি কেউ গিয়ে ব্যালেটে টিপ দেয় বা আপনাকে বাঁধা দেয় তাহলে আপনেরা তা বাঁধা দিবেন।বাঁধা দেবার পরও যদি এমন হয় তাহলে আপনেরা আমাদের জানান।আমি জেলা প্রশাসক,পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে বলে যাচ্ছি সেই ইভিএম আর ভোট হবে দরকার হলে পুনরায় ভোট হবে।কোন প্রকার যাতে জালভোট না হয় আমাদের জানাবেন।জার্মান এক্সপার্ট নিয়ে আসা হচ্ছে আপনাদের নির্বাচনের জন্য।কেউ যদি প্রমাণ করতে পারেন এক জনের ভোট আরেকজন দেয় তাহলে আমরা ইভিএম পদ্ধতি বন্ধ করে দিবো।
নির্বাচন অফিসার ,জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশের উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশনার বলেন,যদি কেউ নির্ধারিত সময়ের আগে মাইক বাজায় বা মাইক।ব্যবহারের অনুমতির আগে তাহলে তার মাইক জব্দ করবেন এবং তার কাছে থেকে জরিমানা করবেন।যদি আপনেরা তা করতে আমাদের সাহায্য না করেন তাহলে আমরা কিন্তু জন প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে আমরা ছাড় দিবো না।আপনাদের বিরুদ্ধেও আমরা লিখবো।আপনেরা বলবেন শুধু আপনাদের উপর দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে তা কিন্তু না সবচেয়ে বেশি চাপ আমার কর্মকর্তাদের উপর।
এর আগে ইভিএম ভোট একদিকে দিলে আরেক দিকে চলে যাবে কিনা?নিরাপদে নির্বাচন কেন্দ্রে যেতে পারবে কিনা?নির্বাচনী ক্যাম্প অনেক বেশি কারো কারো।ভোট কেন্দ্রে যাওয়া ও আসার নিরাপত্তা পাবে কিনা?ভোটে প্রতি ওয়ার্ডে টাকার ছড়াছড়ি হতে পারে।প্রতিটি ওয়ার্ডে ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছেন মতবিনিময়ে আগত প্রার্থীরা।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার আফরোজা খাতুনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক সার্কেল)নাজমুল হাসান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ)আমির খসরু,সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ জামান,সিদ্বিরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃমশিউর রহমান সহ নাসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ,সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থীরা।