দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ যাতায়াতের রাস্তায় প্রতিবেশী কর্তৃক বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় এবং তা নিস্তার পাওয়ার জন্য থানা পুলিশের কাছে সহযোগিতা চেয়ে উল্টো পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরাপত্তাহীণতায় দিনানিপাত করছেন মোসা. মনিরা আক্তা মনি।
এ বিষয়ে একাধিকবার ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও কোর সুরাহা মেলেনি। বিবাদী পক্ষ পারভীন আক্তারগংদের হাজিগঞ্জ ফাড়ির আইসি ইন্সপেক্টর মো.সুরুজউদ্দিন সহযোগিতা করায় প্রতিনিয়ত হামলা ও ভাংচুরের সম্মুখীন হচ্ছে বাদী মোসা.মনিরা আক্তার মনি।
ফতুল্লা দাপা ইদ্রাকপুর মৌজায় দলিল করিয়া স্বত্ববান মালিক হয়েই পরিবার পরিজন নিয়ে ভোগ দখল করে আসছেন মো.রুবেলের স্ত্রী মোসা.মনিরা আক্তার মনি। চলাচলের রাস্তা রেজিষ্ট্রি দলিলে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও উক্ত রাস্তায় চলাচলে বাধা ও ভয়ভীত প্রদর্শন করিতেছে প্রতিবেশী মনির হোসেন,তার স্ত্রী পারভীন আক্তারগং। গত ১০ জানুয়ারী বিবাদীগন উক্ত জোরপুর্বক দখল করে নির্মান কাজ করার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে ঐদিন ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
বিষয়টি সুরাহা না করে হাজিগঞ্জ ফাড়ির আইসি ইন্সপেক্টর মো.সুরুজউদ্দিন সেটার দ্বন্ধ এখনও পর্যন্ত জিয়ে রাখেন। এদিকে গতকাল সোমবার ( ৩১ জানুয়ারী ) উক্ত বিষয়ে নিয়ে রাত ৯টায় পারভীনের স্বামী মো.মনিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী পুর্বপরিকল্পনা মোতাবেক দেশীয় অস্ত-সজ্জে সজ্জিত হয়ে অনধিকার প্রবেশ করিয়া বিভিন্ন ইটের টুকরো আমার বাড়িতে নিক্ষেপ করে,বাসায় সামনে থাকা সীমানা দেয়াল ভেঙ্গে দেয় এবং ঘরে প্রবেশ করে রুমের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে।
এ সময় ১ নং বিবাদীর হাতে থাকা চাকু নিয়ে আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দিলে জীবন বাচাতে তা ঠেকাইতে গেলে উক্ত চাকু দিয়ে আমার স্বামীর হাতে রক্তাক্ত জখম হয়। ২ নং বিবাদীর হাতে থাকা কাঠের ডাসা দিয়ে স্বামীকে ডান পায়ের ঘোরালিতে আঘাত করলে লিলাফুল রক্তজমাট হয়। ৩ ও ৪নং বিবাদীরা ব্যাপক কিলঘুষি ও মারধর করে এবং ৫ নং আসামী আমার গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নেয় যার মুল্য ৫০ হাজার টাকা ও বিবাদীরা আমার ঘরের আলমারিতে রক্ষিত ৬০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
বাদীর স্বামী মো.রুবেল জানান,এ বিষয়ে থানায় ৩টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে অথচ হাজিগঞ্জ ফাড়ির আইসি ইন্সপেক্টর মো.সুরুজউদ্দিনের সাথে বিবাদী পারভীন আক্তারের দহরম-মহরম সর্ম্পক থাকায় তিনি কোন প্রকার পদক্ষেপ নিচ্ছেননা। যে কয়টি অভিযোগ করেছি পারভীনগংদের অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা সুরুজউদ্দিন সেখানে যেতে বারন করে দেন এবং তিনি দেখবেন বলেও জানান কিন্তু কোন সুস্পষ্ট ব্যবস্থা নেননি।
বাদী মনি জানান,আমরা প্রায় ১০ বছর পুর্বে এখানে জমি ক্রয় করি আর মাত্র ৫ বছর পুর্বে পারভীন এখানে জমি ক্রয় করেন। পারভীন আমার কোন আতœীয়-স্বজন নন।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, গত ২৫ জানুয়ারী বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের সাথে ইন্সপেক্টর মো.সুরুজউদ্দিনের বসার কথা ছিলো। রুবেলের স্ত্রী ও পরিবার-পরিজন সারাদিন পুলিশের অপেক্ষায় রইলেও পুলিশ সেখানে যায়নি। অথচ ঐদিন রাত পৌনে ১২টায় ইন্সপেক্টর মো.সুরুজউদ্দিন পারভীনের রেলষ্টেশনের বাড়িতে যান কি কারনে তা নিয়ে প্রশ্ন করছেন স্থানীয়রা।
হাজিগঞ্জ ফাড়ির আইসি ইন্সপেক্টর মো.সুরুজউদ্দিনের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আসলে তদন্তের দ্বায়িত্ব আমার কাছে কখনও আসেনি। তাছাড়া তারা দু’জনই একে অপরের আতœীয়। আর মনির হচ্ছে আমার আতœীয়। ৩ শতাংশ জমির অর্ধেক পারভীন ক্রয় করেছে। সেখানে উভয় পক্ষেরই ৬ফুট করে ছাড়ার কথা। কিন্তু মনি তার ৬ফুটের মধ্যে ঘর নির্মান করেছে বলেই বাধ সেজেছে পারভীন। তাই পারভীন বলেছে তোমরা অন্য জায়গা দিয়ে চলাচল করো আমি আমার ৬ ফুটের মধ্যে দেয়াল নির্মান করবো। শুনেছি আগামী বৃহস্পতিবার নাকি উভয় পক্ষ বসবে।