দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে রহিম হাওলাদার নামে জৈনক ব্যক্তির ৫২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধানের বিরুদ্ধে।
এ বিষয় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের রেছেন ভুক্তভোগী রহিম হাওলাদার।
মামলার বিবরনে জানা যায়, নাসিক ২৩নং ওয়াডের্র সাবেক কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল (৪০),মীর আনোয়ার হোসেন (৪২), ইয়াকুব হোসেন (প্রদীপ) (৪৭), পারভীন আক্তার, হেলেনা বারী, হাফিজ উদ্দিন (৭৬), রফিক উদ্দিন (৬৯), কবিল উদ্দিন (৬৯) তারা সকলেই বন্দর থানাধীন স্বল্পেরচক এলাকার বাসিন্দা।
গত ২০১১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল ও মীর আনোয়ার হোসেন একই এলাকার মৃত: কালাচাঁন মিয়ার ৩ ছেলে হাফিজ উদ্দিন, রফিক উদ্দিন, কবিল উদ্দিন এর কাছ থেকে তফসিলভুক্ত সম্পত্তি ১৩৬২ নং রেজিস্ট্রিকৃত আম-মোক্তার নামা দলিল সম্পাদনা করেন। এরই ধারাবাহিকতায়
আম-মোক্তার নামা দলিল মূলে মালিকানা দাবী করে সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল ও মীর আনোয়ার হোসেন ঐ সম্পত্তি বিক্রি করার জন্য সাইনবোর্ড লাগান। সেই সাইনবোর্ড দেখে একই এলাকার রহিম হাওলাদার জমি ক্রয় করার উদ্দেশ্যে তাদের সাথে যোগাযোগ করেন।
২৬ শতাংশ জমির মূল্য ৫২ লক্ষ টাকা নিধারনের পর অভিযুক্ত সকল ব্যক্তির যোগসাজসে প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে গত ২০১১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী বন্দর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে ১৪৭৮ নং সাব কাবলা দলিল রহিম হাওলাদারের নামে লিখে দেন।
পরে ২০১৬ সালে অভিযুক্তরা ক্রয়কৃত তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি বুঝিয়ে দেন। কিন্তু ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর জমিতেমাটি ভরাটের জন্য গিয়ে দেখেন সেখানে অন্য লোক মাটি ভরাট করে টিনসেড বাড়ী নিমার্ণ করে বসবাস করছেন। এসময় তিনি বাড়ীতে বসবাস কারী ব্যক্তিকে জিগ¦াসা করলে তিনি বলেন আমি এস এ ও আর এস রেকডীয় মালিক কালাচাঁন মিয়ার ওয়ারিশদের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছি।
এ সময় রহিম হাওলাদার সাবেক কাউন্সিলর দুলালের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে কোন কর্ণপাত না করে লাইনটি কেটে দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত হতে রহিম হাওলাদার দুলাল প্রধানের বাড়ীতে গিয়ে দেখেন অভিযুক্ত সকলেই বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন।
এ সময় রহিম হাওলাদার সকলের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা আমাকে অন্যজনের সম্পত্তি বুঝিয়ে দিয়েছেন আমি এই জমি নিবো না। হয় আমাকে ঝামেলা মুক্ত সম্পাত্তি দেন নতুবা আমার টাকা ফিরিয়ে দেন। এ সময় দুলাল প্রধান ক্ষিপ্ত হয়ে রহিম হাওলাদারের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলে এই বিষয় নিয়ে যদি কোন ঝামেলা করিস বা আদালতে যাছ তাহলে তকে প্রাণে মেরে ফেলবো। এই বলে জোড় করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়।
এ বিষয় রহিম হাওলাদার নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন যা চলমান রয়েছে।