দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বন্দরে লাঙ্গলবন্ধ চিড়াইপাড়া এলাকায় মা মেডিকেল হল এন্ড ডক্টরস্ চেম্বার থেকে ভূয়া ডাক্তার পরিচয়ে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল। গত মঙ্গলবার বার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে লাঙ্গলবন্ধ চিড়াইপাড়া ব্রীজ সংলঘœ মা মেডিকেল হল এন্ড ডক্টরস্ চেম্বার থেকে রেজিষ্ট্রেশন ও লাইসেন্স বিহীন দুই প্রতারককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় কৌশলে পালিয়ে যায় ডাঃ পরিচয়দান কারী মোঃ সোহেল মাহমুদ খান। এদের কাছ থেকে ৫টি চিকিৎসার প্যাড,ভিজিটিং কার্ড,চিকিৎসার সরঞ্জামাদী ও ৭বোতল জিনসিন সিরাপ উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে র্যাব-১১ এর ডিএডি সিঃ অফিসার মুছা মিয়া বাদী হয়ে মোঃ সোহাগ,নুর মোহাম্মদ সুজন ও মোঃ সোহেল মাহমুদ খানকে আসামী করে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলর আইনে বন্দর থানায় মামলা রুজু করেন।
র্যাব সুত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের লাঙ্গলবন্ধ চিড়াইপাড়া ব্রীজ সংলঘœ মা মেডিকেল হল এন্ড ডক্টরস্ চেম্বারের ভিতর রেজিষ্টেশন ও লাইসেন্স বিহীন মোঃ সোহাগ,নুর মোহাম্মদ সুজন ও মোঃ সোহেল মাহমুদ খান নামে ৩জন ভূয়া ডাক্তারের ছদ্দবেশে সাধারন মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছে।
গত ৮মার্চ আনুমানিক ১টা ১০মিনিটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১’র একটি আভিযানিক দল লাঙ্গলবন্ধ চিড়াইপাড়া ব্রীজ সংলঘœ মা মেডিকেল হল এন্ড ডক্টরস্ চেম্বারের ভিতরে প্রবেশ করিলে র্যাবের উপস্থিতি টের পাইয়া ৩ প্রতারক পালানোর চেষ্টাকালে মোঃ সোহাগ ও নুর মোহাম্মদ সুজন গ্রেফতার হয়। তবে কৌশলে পালিয়ে যায় ডাঃ পরিচয়দান কারী মোঃ সোহেল মাহমুদ খান। ধৃত আসামীদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা ডাঃ পরিচয়দান কারী মোঃ সোহেল মাহমুদ খানের সহযোগী ও কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে পরিচয় দেয়।
এবং এদের কারো মেডিকেল ও মেডিসিন সম্পর্কে নূন্যতম কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নাই। এরা রোগ নির্নয়ের জন্য রোগীদের কাছে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে। চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যাতিত বিভিন্ন রকম ভেকসিন ইনজেকশন করে বলে জানায়। এই ব্যবসার লভাংশ থেকে ৩জনই সমান ভাগ পেয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে তারাসাধারন মানুষের সাথে এ প্রতারনা করছে। পলাতক আসামী ডাঃ পরিচয়দান কারী মোঃ সোহেল মাহমুদ খান একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক বলে এলাকায় প্রচারনা করে এবং ছোটখাট অপারেশনও করে থাকে।
ড্রাগ লাইসেন্স ব্যাতিত মা মেডিকেল হল এন্ড ডক্টরস্ চেম্বারে বিভিন্ন প্রকার যৌন উত্তেজক ঔষধ,স্বল্পমূল্যে মেয়াদ উত্তির্ণ ঔষধ বিক্রি করে আসছে। ধৃত প্রতারকদের কাছ থেকে ডাক্টারী সনদ কিংবা বিএমডিসি কর্তৃক সনদ আছে কিনা জানতে চাইলে তারা কোন কাগজই দেখাতে পারে নাই। উল্লেখিত ফার্মেসী থেকে ৫টি চিকিৎসার প্যাড,ভিজিটিং কার্ড,চিকিৎসার সরঞ্জামাদী ও ৭বোতল জিনসিন সিরাপ উদ্ধার করা হয়।