দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা রিক্সা চালক ইউনিয়ন রেজিঃ ৩৭৩২ এর সাধারন সম্পাদক চিহ্নিত চাঁদাবাজ মো.আজিজুল হকের পক্ষে প্রতিবাদ সভা করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
শনিবার ( ১৬ এপ্রিল ) সকাল ১১টায় সংগঠনের পঞ্চবটী কার্যালয়ে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে বিভিন্ন সময় চাঁদা বাজীর অভিযোগে চিহ্নিত চাঁদাবাজ মো.আজিজুল হকের বিরুদ্ধে স্থানীয় গণমাধ্যমে নানা সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সেই সাথে চাঁদাবাজীর অভিযোগে মো.আজিজুল হকে একাধিবার আটক করে জেলে প্রেরন করেছে ফতুল্লা থানা পুলিশ।
এদিকে চাঁদাবাজ মো.আজিজুল হকের পক্ষে প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন,প্রায় ১২ বছর যাবত নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা রিক্সা চালক ইউনিয়ন খেটে খাওয়া শ্রমিকের কল্যানে কাজ করছে। যেহেতু এটি একটি সরকারী নিবন্ধিত সংগঠন তাই সরকারের সকল প্রকার নির্দেশনা পালন করেই আমরা এর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কতিপয় স্বার্থান্বেসী মহল তাদের অনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা রিক্সা চালক ইউনিয়ন এর সাধারন সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.আজিজুল হকের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় পটত্রিকাতে মিথ্যাচার রটাচ্ছে।
আমরা দৃঢ় কন্ঠে বলতে চাই আমাদের সকলের প্রানপ্রিয় নেতা ও খেটে খাওয়া দিনমজুরের নয়নের মনি কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ কাউসার আহমেদ পলাশ ভাইয়ের দিক-নির্দেশনা মেনে খেটে খাওয়া সেই ইজিবাইক চালকদের পাশে থেকেই কাজ করছি।
তারা আরও বলেন, আমাদের নেতা আলহাজ কাউসার আহমেদ পলাশ ভাই তার সুচিকিৎসার জন্য প্রায় ৪ মাস যাবত ভারতে রয়েছেন। আর তার পাশে থেকে দেখভালের জন্য প্রায় ২ মাস যাবত সেখানেই অবস্থান করছেন আজিজুল হক। অথচ সেই মহলগুলো অপপ্রচার করছে যে তার নেতৃত্বে নাকি চাদাঁবাজি হচ্ছে। পাগলা এলাকায় যানজট নিরসনের জন্য কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ মনিরুল আলম সেন্টুর অনুরোধে আমরা সেখানে ৬ জন ভলেন্টিয়ার নিয়োগ দিয়েছিলাম।
কিন্তু সেই কুচক্রি ও স্বার্থান্বেসী মহলগুলো সেই ৬ জন ভলেন্টিয়ারকে চাদাঁবাজ আখ্যা দিয়ে র্যাবের কাছে সোপর্দ করে। আমরা সেই সমস্ত স্বার্থান্বেসী মহলকে বলতে চাই যে ৬ জনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে রেখেছেন খোজ নিয়ে জানুন তাদের পরিবারগুলো কিভাবে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
অথচ পাগলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি-সাধারন সম্পাদক এবং কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলেিগর সভাপতি জসিমউদ্দনগংরা প্রকাশ্যে ট্রাক থামিয়ে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করে চাদাঁ আদায় করছে। কই তাদের কেন চাদাঁবাজ আখ্যা দিয়ে আটক করা হচ্ছেনা।
তারা আরও বলেন,সেই মহল যাকে চাদাঁবাজ বলছে সে চাদাঁবাজ নাকি শ্রমিকদের নয়নের মনি খোজ নিয়ে জানুন। করোনা মহামারীর সময়েও সেই আজিজুল হক ইজিবাইক চালকদের পরিবারগুলো আর্থিক অনুদান ছাড়াও খাদ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন। গত বছরের শীতের মাঝেও প্রায় ৭ শতাধিক শ্রমিককে কম্বল দিয়েছেন পাশাপাশি যে সকল শ্রমিকগুলো অর্থের অভাবে সংসারের অসুস্থ সদস্যকে সুস্থ করতে পারেনা তখন এ আজিজুলই তাদেরকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।
আমরা সেই সকল অপপ্রচারকারীদের বলতে চাই,আপনারা আপনাদের নোংরামি বন্ধ করুন। যদি আজিজুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধ না করেন তাহলে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। এ নিয়ে কোন বিশৃংখলা সৃষ্টি হলে প্রশাসনকেই তার দায় নিতে হবে। পাশাপাশি আমরা পুলিশ প্রশাসনকে বলবো আপনার খোজ নিয়ে দেখুন কারা ক্ষমতার জোরে রেজিষ্ট্রেশন বিহীন সংগঠনের মাধ্যমে সাধারন চালকের কাছ থেকে চাদাঁ আদায় করে নিজেদের আখের গোছাচ্ছেন। আপনারা প্রকৃত অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি প্রদান করুন।