দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিক দলের সদ্য ঘোষিত দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি নিয়ে বেশ সমালোচনার জন্ম দিয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে। কারন যোগ্যদের পাশকাটিয়ে অযোগ্য ও ঘরকুণে নেতাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এবারের কমিটিতে। এছাড়াও শ্রমিকদল একটি বড় সংগঠন যেখানে রয়েছে অনেক অঙ্গসংগঠন।
আর এরমত একটি গুরুত্বপুর্ন সংগঠনে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে অশিক্ষিত ও ক্ষমতাশীনদের ঘরোনার লোকদেরকে। যারা বিগত ৫ বছরে সাংগঠনিক ও দলীয় কর্মসূচি গুলোতে ছিলো রাজপথে।
এ বিষয় শ্রমিকদলের কয়েকজন নেতা ও কর্মী বলেন, আওয়ামী ঘরোনার অসাংগঠনিক ও অযোগ্য লোকদের হাতে মহানগর শ্রমিক দলের কমিটির দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। যেটা আমরা কখনই মেনে নিতে পারবো না। কারন আমরা মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে ৫টি বছর রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলাম।
আমাদের বাদ দিয়ে যারা না জানিয়ে এস এম আসলাম ও ফারুক হোসেনকে কমিটিতে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য। তারা এই ৫ বছর দলীয় কর্মসূচিসহ আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ছিলো না। আমরা রাজপথে থেকে মামলা ও হামলার শিকার হয়েছি।
তারা আরও বলেন, মহানগর শ্রমিকদলে এস এম আসলামকে আহবায়ক করা হয়েছে। সে শ্রমিকলীগের অনুমোদিত ট্যাংক লড়ি ড্রাইভার ইউনিয়নের সদস্য। তার ভাই বঙ্গবন্ধু পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি, আরেক ভাই শেখ রাসেল শিশু কিশোর সংগঠনের জেলার সভাপতি।
এছাড়াও আসলামের নিজের কোন বেধ কর্মনেই তার ভাইদের সহযোগীতায় সিদ্ধিরগঞ্জ যমুনা ডিপোর তৈল চুরির ব্যবসা করে। সে ২০১১ সালে আবুল খায়ের খাজার মাধ্যমে অবৈধ ভাবে শ্রমিক দলে প্রবেশ করেছে।
এছাড়াও গত সাত বছর আহবায়ক থাকার পর সে মহানগর শ্রমিক দলের পুর্নাঙ্গ কমিটি দিতে পারেনি। তাকেই আবার কেন মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক করা হলো সেটা আমাদের সকলেরই জানার অধিকার আছে।
অপরদিকে সদস্য সচিব ফারুক হোসেন সে একজন ড্রাইভার যদিও বর্তমান এই পেশার সাথে জড়িত না। জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের অনুমোদিত কোন সংগঠনের সাথে তার কোন সর্ম্পর্ক নেই। ক্ষমতাশীন দলের নেতাদের সাথে আতাঁত করে বাসষ্ট্যান্ডে অবৈধ জুয়ার বোর্ড পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য।
সে শ্রমিক দলের ২০১৫ সালে আবুল খায়ের খাজার মাধ্যমে নিজে সভাপতি হয়ে এক বিদ্রোহী মহানগর শ্রমিকদলের কমিটি আনেন। দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় বিএনপি ও শ্রমিক দলের নামে মামলা ও হামলা চালিয়ে দলের অনেক ক্ষতি করেছে।
এই ধরনের অবৈধ নেতাদের সাথে শ্রমিকদলের কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না। আমরা মহানগর শ্রমিক দলের নেতা ও কর্মীরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক হয়ে আইনবিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত লোকদের নেতৃত্বে কখনই রাজনীতি করবো না।
তাছাড়া সে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের রেজিষ্টাশন আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। তার মত বেঈমানের সাথে মহানগর শ্রমিক দলের নেতারা কখনই রাজনীতি করবে না।
এ বিষয় এস এম আসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মত পার্থক্যের কারনে ৫ বছর মহানগর বিএনপির সাথে রাজনীতি করি নাই। কিন্তু আমি এ্যাড. তৈমূর আলম খন্দকার ও এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সাথে রাজপথে ছিলাম। আর আমি বিএনপির রাজনীতি করি এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয় আমার পরিবার কোন দলের রাজনীতি করে সেটা আমার দেখার বিষয় না।
এ বিষয় ফারুক হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ব্যাপারে যে সকল অভিযোগ করা হয়েছে সব মিথ্যা কথা। ইউনিয়ন কখনই বিক্রি করা যায় না তবে নির্বাচনের মাধ্যমে হাত বদল হয়।
আর আমি মহানগর বিএনপির সাথে রাজনীতি করি নাই এটাও মিথ্যা তবে কিছুটা সত্যতা আছে। আমি সব কর্মসূচিতে যেতে পারি নাই কারন ঢাকার অনেক কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করতে হয়েছে। আর জুয়ার বোর্ডের বিষয় যদি বলি আমি সেখানে কখনই যাইনি।