দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বন্দরে নবীগঞ্জের কদমতলি ও শান্তিবাগ এলাকায় অবাধে চলছে অবৈধ গ্যাস সংযোগের হিড়িক। এমন কথা জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। তারা আরো জানায়, আবাসিক গ্রাহকদের নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ। যার কারনে হাজার হাজার আবেদনকারী আবেদন করেও বৈধ ভাবে গ্যাসের সংযোগ পাচ্ছেন না। অথচ বন্দরে পর্দার আড়ালে টাকার বিনিময়ে চলছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ।
এরই মধ্যে একটি অবৈধ গ্যাস চোর সিন্ডিকেট রাতের আধারে নবীগঞ্জ শান্তিবাগ এলাকার কদমতলি রাস্তা কেটে একাধিক আবাসিক গ্রাহককে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অবৈধ গ্যাস সংযোকারি ওসমান গনি ও বাপ্পিগং এর বিরুদ্ধে। প্রশ্ন হচ্ছে এ গ্যাস সংযোগ দেয়ার নেপথ্যে কারা? কত টাকা লেনদেন হয়েছে পর্দার অন্তড়ালে?। তথ্য সূত্রে জানা যায়, বন্দর নবীগঞ্জ শান্তিনগর আবাসিক এলাকায় নতুন বাড়ি ও বহুতল ভবনের মালিকদের সাথে মোটা অংকের টাকার চুক্তি করে রাতের আধারে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে যাচ্ছে ওসমান গনি, বাপ্পি, আরিফ, জয় ও রোমান। শান্তিনগর কদমতলি এলাকায় অভিযান করলেই তার প্রমাণ পাওয়া যাবে।
এলাকাবাসী গনমাধ্যমকে জানায়, গ্যাস চোর বাপ্পির সাথে তিতাসের কিছু লোকের সাথে সু-সম্পর্ক রয়েছে। আমরা টাকা দিয়ে বৈধভাবে গ্যাস সংযোগ এনে মাসে মাসে ঠিক মত গ্যাস পাইনা। গ্যাসের জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কষ্ট করে যাচ্ছি। অথচ অর্থলোভী গ্যাস চোরের দল অবৈধ ভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে বন্দরকে গ্যাস সংকট করে রেখেছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগকারিদের কারনে প্রতিমাসে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শান্তিনগর আবাসিক এলাকায় ছোট বড় সবগুলো ভবনেই গ্যাস সংযোগ দেওয়া আছে। এসব ভবনে গ্যাস সংযোগ কিভাবে নেওয়া হলো এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি বাড়ীগুলোর মালিকপক্ষ। কিছু কিছু বাড়ীর মালিকরা জানিয়েছেন আমরা বাপ্পি ও এলাকার লোকদের টাকা দিয়ে এই গ্যাস সংযোগ নিয়েছি এবং মাসে মাসে তাদের কাছে বিলও দেই। গ্যাস সংযোগের বই দেখতে চাইলে তারা বই দেখাতে অপরগতা প্রকাশ করে। এ ব্যাপারে গ্যাস চোর বাপ্পি জানায়, ভাই নিউজ করে লাভ নেই।
আপনার চায়ের দাওয়াত রইলো আসেন দেখা করে সমাধান করি। এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলার নির্বাহী অফিসার বি এম কুদরত এ খোদা জানান, কদমতলী শান্তিনগর এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিষটি আমি অবগত নই। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। যত দ্রুত সম্বভ অবৈধ গ্যাস সংযোগ কারিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।