দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: প্রাচ্যের ডান্ডি খ্যাত নারায়ণগঞ্জে এক সময়ে রাজপথ কাপানো বিএনপির ভ্যানগার্ড হিসেবে পরিচিত ছাত্রদলের ভবিষ্যত্ব অনেকটাই অনিশ্চয়তার দিকে অতিবাহিত হচ্ছে।
গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে মহানগর ছাত্রদলের কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি ঘোষনা করা হবে। অথচ নতুন কমিটিতে নেতৃত্ব দেয়ার মত হাতে গোনা ২/১ জন ছাড়া শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে চোখে পড়ার মত তেমন কাউকে দেখা যাচ্ছে না।
আর এর প্রধান কারন সম্মেলন ও তৃনমূল্যের সাথে আলাপ আলোচনা ছাড়াই কেন্দ্রীয় নেতাদের পকেটে মাল পরলেই অদক্ষ ও অযোগ্যদের হাতে কমিটির দায়িত্ব চলে আসায় এই পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে বলে দাবী সংগঠনের তৃনমূলের।কারন যোগ্য ও সাংগঠনিক ব্যক্তিদের হাতে সাংগঠনের দায়িত্ব অর্পিত হলে নতুন নেতৃত্ব বিকাশে অনেকটাই সহযোগীতা পাওয়া যায়।
এবিষয় বর্তমান মহানগর ছাত্রদলের তৃনমূল দাবী করে বলেন, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সম্মেলনের মাধ্যমেই নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হওয়ার কথা কিন্তু টাকা আর লবিং এর কাছে সেই কমিটি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে যোগ্য নেতৃত্বকে অবমাননা করা হচ্ছে। আর অযোগ্য ব্যক্তিদের হাতে সাংগঠনিক দায়িত্ব চলে যাওয়ায় নেতৃত্ব বিকাশে প্রধান বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। আগামী দিনে দল পরিচালনার ক্ষেত্রে এর প্রভাব পরবে এবং প্রকৃত নেতৃত্ব খুজে পাওয়া প্রধান সমস্যায় পরিনত হবে।
এদিকে ২০১৮ সালের জুন মাসের শুরুর দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষনার মধ্য দিয়েই ভ্যানগার্ডদের ভবিষ্যত্ব অনিশ্চিয়তার দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের লোভের কারনেই অযোগ্যদের হাতে ছাত্রদলের দায়িত্ব আসায় নতুন নেতৃত্ব বিকাশে হয়েছেন একেবারেই ব্যর্থ। যারফল শ্রুতিতে বর্তমান কমিটির দায়িত্বে থাকা কর্তব্যরত নেতারা নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টিতে ব্যর্থ হলেও বিভক্তির রাজনীতিতে সফল হয়েছেন চোখে পরার মত।
অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ ছাত্রদলের সোনারলী অতীতের ফসলের কারনেই বর্তমান স্থানীয় বিএনপি রাজনৈতিক ভাবে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। আর যাদের ছাত্র রাজনীতির কারনে আজ নারায়ণগঞ্জ বিএনপি শক্তিশালী এরা হলেন, এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, জাহিদ হাসান রোজেল, মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মোশারফ হোসেন, মুকুল, শাহফতে রেজা রিপন, সায়েম, মাহবুব হোসেন, মনিরুল ইসলাম সজল, দেলোয়ার হোসেন খোকন, রুহুল আমিন, সরকার আলম, মনোয়ার হোসেন শোখন, মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, দেলোয়ার হোসেন খোকন, মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, নাজমুল হক রানা, আবু মন্সুর, আব্দুল হালিম, মোস্তাফিজুর রহমান পাবেল,
খন্দকার আক্তার হোসেন, লোকমান হোসেন, সেলিম হাসান দিলিপ, মোস্তাক আহম্মেদ, আকতার হোসেন, ফারুক আহম্মেদ রিপন, রাশেদুর রহমান রশু, শওকত হোসেন মোল্লা, সেফা সৃষ্টি, দোলোয়ার হোসেন খোকন, শরীফ হোসেন, ইকবাল হোসেন, শরীফ মোল্লা, সৈয়দ আকসির, রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, খন্দকার আক্তার হোসেন,
আশরাফুল হক রিপন, এড. আমিনুল ইসলাম ইমন, রিপন জাফর, জেলা কৃষক দলের শরীফ মোল্লা, মহিউদ্দিন শিশির, রহিমা শরিফ মায়া, দিলারা মাসুদ ময়না যারা নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে বর্তমান লড়াকু সৈনিকের ভূমিকা পালন করে আসছেন। এছাড়াও তৎকালীন সময় বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেছেন যারা এখনও রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহন করে আসছেন।
তবে ছাত্র রাজনীতিতে তাদের বিচরন শেষে পরবর্তীতে ছাত্রদলের নেতৃত্বে আশা নেতারা তেমন কোন নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে পারেননি। সেই সাথে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটি দিতেও ব্যর্থ হয়েছেন। আর এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকায় আগামী দিনের রাজনীতিত্বে নেতৃত্বের ভাটার সৃষ্টি হচ্ছে।