ফতুল্লা প্রতিনিধি
দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: ফতুল্লা থানাধীন মাসদাইর গাবতলী এলাকায় বাড়িওয়ালা কর্তৃক ভাড়াটিয়ার ৯ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় স্থানীয় মেম্বারসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা মামলা পরিবর্তে আপোষ-মিমাংশার মাধ্যমে উক্ত পরিবারকে নারায়ণগঞ্জ ছাড়াতে বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৫ মে বিকেল ৩টায় বাড়িওয়ালা কাজলের ঘরেই এমন ঘটনা ঘটায় কাজল।
জামালপুর জেলার ইসলামপুরের বর্তমানে কাজলের বাড়ির ভাড়াটিয়া হালিম ও সাবিনা দম্পত্তির ৯ বছরের মেয়েকে বাড়িতেই রেখে প্রতিদিনের ন্যায় ঐদিন বাবা রাজমিত্রি হালিম ও মা আমেনা গার্মেন্টস এর শ্রমিক কাজে চলে যায়। বিকেল ৩টায় ঘরের ট্যাপকলে পানি না থাকায় সেই শিশু মেয়ে বাড়িওয়ালার ঘরের কলিংবেল টিপে টাংকিতে পানি নেই বলে পানি ছাড়তে।
এ সময় বাড়িওয়ালা কাজল ৯ বছরের শিশুকে ঘরের ভিতরে টেনে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় উক্ত শিশুর মামা হাসান ৯৯৯’এ ফোন করলে ডিউটিতে থাকা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক হুমায়ুন-৪ উক্ত বাড়িতে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে পুলিশের পরামর্শে শিশুটির মামা হাসান ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন বাড়িওয়ালা কাজলের বিরুদ্ধে।
এ দিকে থানায় অভিযোগের পর থেকে উক্ত বাড়িওয়ালাকে বাচাঁতে উঠেপড়ে লাগেন স্থানীয় মেম্বারসহ গন্যমান্য ব্যক্তিরা। এসআই হুমায়ুন-৪’র ভুমিকাও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ দাবী স্থানীয়দের। তিনি মামলা না নিয়ে আসামীকে গ্রেফতার না করে উল্টো সামাজিকভাবে ফয়সালা করার পরামর্শ দেন বলে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
১৬ মে রাত ১১টায় এনায়েতনগর ইউপির ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার কামরুল ইসলামের অফিসে শিশুটির বাবা-মাসহ স্বজনদের ডেকে এনে বিচার সাল্যিস করেন মেম্বার কামরুল ইসলাম,ফুটবলার মনির হোসেন,মো.হাসেমসহ অন্যান্যরা। বিচারে শিশুটির পরিবার বাড়িওয়ালার কাছে ৩ মাসের বকেয়া ভাড়া মওকুফ ও ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেন বাড়িওয়ালা কাজলকে। পাশাপাশি ঐ রাতেই শিশুটির পরিবারকে নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে জামালপুরে পাঠিয়ে দেন বিচারকরা।
এ বিষয়ে ধর্ষনের চেষ্টার শিকার শিশুটির মামা জানান,আমরা আইনী সহায়তা চাইলেও স্থানীয়দের কারনে তা পারিনি। মেম্বারের অফিসে নিয়ে মেম্বার,ফুটবলার মনির হোসেন,মো.হাসেমগংরা বিচার সাল্যিস করে দেন।
এ ঘটনায় বিচারক এনায়েতনগর ইউপির ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার কামরুল ইসলাম জানান,ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টার বিচার আমরা করতে পারিনা। কে বলেছে যে আমি উক্ত ঘটনার বিচার করেছি। ( শিশুটির মামার দেয়া বক্তব্য বিচার কার্যক্রম মেম্বারের কার্যালয়েই সম্পন্ন হয়) ।
অপর বিচারক ফুটবলার মনির হোসেনের ব্যবহৃত মুঠোফোনে ( ০১৯৭১৬৬৫৫@@) একাধিকবার ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
৯৯৯’এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল মডেল থানার উপপরিদর্শক হুমায়ুন-৪ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি কিন্তু শিশুটির পরিবার থানায় কোন অভিযোগ করতে চায়নি। তারা বলেছে সামাজিকভাবে ভাবে নিস্পত্তি করবে তাই। ধর্ষণ বা ধর্ষনের চেষ্টার বিচার তো কেউ করতে পারেনা প্রশাসন ছাড়া সেত্রে কি করলেন আপনি এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেনি।