বন্দর প্রতিনিধি
দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ বন্দর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় কিশোর অপরাধী দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় বন্দর থানায় উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা রুজুর ঘটনায় শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে বন্দর থানা প্রশাসন।
গত ১৭ মে বন্দর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় কিশোর অপরাধী শান্ত ও জাহিদ গ্রুপের মধ্যে সৃষ্ট সংর্ষের ঘটনায় প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছে স্থানীয় জনতা।
এদিকে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে একটি পক্ষ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নিরপরাধ ব্যাক্তিসহ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগ সদস্য রাজু আহমেদের নামে হয়রানীমুলক মিথ্যা মামলা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় নুরবাগ পঞ্চায়েত কমিটি,নুরবাগ যুব সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে বন্দর প্রেসক্লাবের সামনে মানব বন্ধন করে।
তথ্যসুত্রে জানা গেছে,সম্প্রতি ১৭ মে মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় কিশোর অপরাধী শান্তগং ও জাহিদগংদের মধ্যে দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় জনতা ধারালো অস্ত্রসহ ৩ কিশোর সন্ত্রাসী শান্ত,মেহেদী ও শাকিলকে আটক করে। পরে বন্দর ফাঁড়ী পুলিশকে অবগত করলে এএসআই দীলিপসহ সঙ্গীয় ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছায়।
পরে এক ব্যাক্তি তথ্য প্রযুক্তির দ্রুত সেবা ৯৯৯ ফোন করলে বন্দর থানার এসআই রফিকুল এসে ওই ৩ কিশোর সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রসহ আটক করে। প্রতিপক্ষের হামলায় ওই সন্ত্রাসীরা আহত হওয়ায় পুলিশ তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিতে বন্দর উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। গভীর রাতে মহানগর জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতাদের বিশেষ সুপারিশে এসআই রফিকুল ওই ৩ সন্ত্রাসীকে ছেড়ে দিলেও ধারালো অস্ত্রগুলোর কোন হদিস মিলেনি।
এদিকে ধারালো অস্ত্রসহ ৩ কিশোর সন্ত্রাসী শান্ত,মেহেদী ও শাকিল আটকের ছবি সাধারন মানুষ ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয় এবং কিশোর সন্ত্রাসী শান্ত গ্রুপের হামলায় অপর গ্রুপের আহত জাহিদ বাদী হয়ে ওই রাতেই থানায় গিয়ে কিশোর সন্ত্রাসী শান্ত,মেহেদী ও শাকিলকে আসামী করে অভিযোগ করলে পুলিশ বিপাকে পড়ে যায়।
সঙ্গে সঙ্গে ৩ কিশোর সন্ত্রাসী শান্ত,মেহেদী ও শাকিলকে থানায় ডেকে এনে আটক করে মামলা রুজু করে কোর্টে প্রেরন করে। পরে ছাত্র সমাজের নেতাদের সুপারিশে রাহাদ খান বাদী হয়ে থানা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগ সদস্য রাজু আহমেদ ও তার ভাই নুরুজ্জামানসহ ৮জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
ওই রাতেই এসআই রফিকুল ছাত্র সমাজের নেতাদের কাছে অতিরিক্ত সুবিধা নিয়ে নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করেন। কিশোর সন্ত্রাসী উভয় পক্ষের সৃষ্ট সংঘর্ষের ঘটনায় রাজু আহমেদকে মামলায় আসামী করায় মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে নুরবাগ পঞ্চায়েত কমিটিসহ কয়েকটি সামাজিক সংগঠন মানব বন্ধন করেন।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা নাই এমন নিরপরাধ ব্যাক্তিদের মামলার আসামী করায় স্থানীয় এলাকাবাসী প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে। এ ব্যাপারে বন্দর থানার তদন্ত ওসি মহসিন মিয়া জানান,ভিকটিম বাদী হয়ে মামলা করেছে। কেউ নিরপরাধ থাকলে তদন্ত করে চার্জসিট থেকে নাম বাদ দেয়া হবে।