বন্দর প্রতিনিধি
দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ বন্দর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বন্দর জোনাল অফিস কর্তৃপক্ষের সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম ও গ্রাহক হয়রানির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের কারণে ২ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করায় ক্ষোভ, প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। দুর্নীতিবাজ ডিজিএম’র অপসারণ সহ দায়েরকৃত অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় রাজনীতিক ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ প্রকাশের কারণে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করার ঘটনা অত্যান্ত ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে বন্দর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক দেশ রুপান্তরের জেলা প্রতিনিধি মো: মোবারক হোসেন খান কমল বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি’র বিরুদ্ধে অনিয়ম ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ বহু আগে থেকেই। তবে বর্তমান, সময়ে ওই প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ বেশি। তিনি দ্রুত দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবী জানান।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি ও বন্দর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সংবাদ প্রকাশের কারণে সাংবাদিকদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হাস্যকর এবং জঘন্য কাজ। সংবাদে কোনো আপত্তি থাকলে তিনি প্রতিবাদ দিতে পারতেন। এমনকি প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ দিতে পারতেন।
এদিকে সংবাদ প্রকাশের কারণে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সচেতন মহল। মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হুমায়ুন কবির মৃধা বলেন, সাংবাদিকদের অনুন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য উঠে আসে। তাছাড়া, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ তথ্য নিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইন করে দিয়েছেন। তিনি অবিলম্বে অভিযোগ প্রত্যাহারের আহবান জানান।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ মে জাতীয় এবং স্থানীয় অসংখ্য দৈনিক পত্রিকা এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালে বন্দর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষের সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম ও গ্রাহক হয়রানির বিষয় নিয়ে তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশ হয়। এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হলে নিজের অপকর্ম আড়াল করতে ডিজিএম শ,ম মিজানুর রহমান স্থানীয় ২ জন পেশাদার সংবাদকর্মীর নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের কারণে তার সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। অভিযোগটি মদনগঞ্জ ফাড়ীর এস আই মহসিন কে তদন্তের জন্য ইস্যু করা হয়েছে বলে সুত্র নিশ্চিত করছে।
অভিযোগের বিষয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, কোনো সাংবাদিকদের নামে থানায় অভিযোগ করেছেন কিনা আমার জানা নেই।