বন্দর প্রতিনিধি
দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বন্দরে ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে ১ সন্তানের জননীকে শাররীক নির্যাতনের সময় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে নির্যাতিত গৃহবধূ মারিহা তানজিলকে উদ্ধারসহ পাষান্ড স্বামী সুমন হায়দার (৩৪)কে গ্রেপ্তার করেছে ধামগড় ফাঁড়ী পুলিশ।
রোববার (৮ মে) রাতে বন্দর থানার কুড়িপাড়াস্থ হাজী মিলন মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়ি থেকে ওই পাষান্ড স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় ভ’ক্তভোগী গৃহবধূ মারিহা তানজিল বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত যৌতুক লোভী স্বামী বিরুদ্ধে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং- ১৩(৫)২২।
এ ব্যাপারে নির্যাতিত গৃহবধূ মারিহা তানজিল গনমাধ্যমকে জানান, গত ৬ বছর পূর্বে সুদূর বরগুনা জেলার বেতাগী থানার বদনীখালী এলাকার আব্দুল হাকিম মিয়ার ছেলে সুমন হয়দার এর সাথে কুমিল্লা জেলার কতোয়ালী থানার আব্দুল জলিল মিয়ার মেয়ে মারিহা তানজিলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ে হয়। ৬ বছরের সংসার জীবনে তাহরিন হায়দার নামে একটি ৪ বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। ছেলেটি জন্ম নেওয়ার পর থেকে সুমন হায়দার ও তার বড় বোন নুসরাত জাহান শিলা আমার পিত্রালয় থেকে যৌতুক আনার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে আমাকে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে।
পরে বিষয়টি আমার পরিবারকে জানালে আমার পিতা আমার সুখের কথা চিন্তা করে যৌতুক লোভী স্বামী হাতে ৫ লাখ টাকা যৌতুক তুলে দেয়। এতেও তার মন ভরেনি। সে পুনরায় আমার পিতার কাছ থেকে আরো ১০ লাখ টাকা এনে দিতে আমাকে ব্যাপক চাপসৃষ্টি করতে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৮মে রোববার রাতে পাষান্ড স্বামী সুমন হায়দার পুনরায় ১০লাখ টাকা আমার পিতার নিকট থেকে এনে দিতে বলে।
আমি টাকা এনে দিতে রাজি না হওয়ায় ওই সময় পাষান্ড স্বামী সুমন হায়দার ও তার বোন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বেদম ভাবে পিটিয়ে জখম করে। পরে আমি জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন করলে ধামগড় ফাড়ী পুলিশ আমাকে নির্যাতনের হাত থেকে উদ্ধারসহ পাষান্ড স্বামী সুমন হায়দারকে গ্রেপ্তার করে। পরে পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত পাষান্ড স্বামী সুমন হায়দারকে সোমবার দুপুরে ওই মামলায় তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।