দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো পদ্মা সেতু এখন উদ্ভোধনের অপেক্ষায়।
দ্বিতল এই সেতুর এক অংশ মুন্সিগঞ্জের মাওয়া এবং অপর অংশ শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যুক্ত। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। একই সঙ্গে রেল ও গাড়ী চলাচলের ব্যবস্থা থাকা এই সেতুতে নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি উদ্ভোধনের দিন ধার্য্য করেছেন।
তবে এই সেতুর ভিত্তি প্রস্তর উদ্ভোধন নিয়ে শেষ বেলায় বিএনপি নয়া সমিকরনের জন্ম দিয়েছেন। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান থেকে শুরু করে অন্যান্য নেতাকর্মীরা দাবি করছেন। পদ্মা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর উদ্ভোধন করেছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। সেই সময় এই সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিলো ১০ হাজার কোটি টাকা। তবে সেতু নিয়ে দেশের প্রধান দুটি দলের নেতাদের মধ্যে রাজনীতি যাই হউক। এই সেতু নির্মাণের ফলে ১৮টি জেলার মানুষের স্বপ্ন পুরণ হয়েছে এটাই বাস্তব। সেই সাথে এর ফল ভোগ করবেন সারা বাংলাদেশের মানুষ।
তবে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো বাস্তবায়ন হওয়াটা কিভাবে দেখছেন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের কর্ণধাররা সেটা এখন দেখার বিষয়।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মুহাম্মদ বাদলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে ফোনটি বন্দ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আনোয়ার হোসেন বলেন, স্বাধীনতার পর দেশে এতো বড় প্রকল্প এই প্রথম উদ্ভোধন হতে যাচ্ছে। এটা নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন মন্তব্য করেছিলেন এবং বলেছেন এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। কিন্তু সকল মন্তব্যকে পাশ কাটিয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু এখন উদ্ভোধনের অপেক্ষায়।
শুধু এটাই না আরও অনেক মেগা প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছেন এবং করছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন। ইচ্ছে থাকলে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। আগামী ২৫ তারিখ সারা বাংলাদেশের মানুষ সেটার বাস্তবায়ন দেখবে।
এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. খোকন সাহা বলেন, অনেকেই বলেছেন পদ্মা সেতু হবে না অসম্ভব। আমাদের দেশে কিছু নিজেদেরকে সুশীল দাবিকরা অনেকেই বলেছেন পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হওয়ার আগেই দুর্নীতি হয়েছে। সেই সময় বিশ^ ব্যাংক ঋৃণ দেয়া বন্দ করে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো পদ্মা সেতুর কাজ বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।
অনেকেই বলেন পদ্মা সেতুর নির্মানের ফলে শুধু ১৮টি জেলার মানুষ এর সুফল ভোগ করবে। কিন্তু না এটার এর ফল ভোগ করবেন সারা বাংলাদেশের মানুষ।
এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে বিশে^র মানচিত্রে মাথা উ”ু করে দাড় করিয়ে ছিলেন। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থায়নে দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো পদ্মা সেতুর কাজ বাস্তবায়ন করে সারা বিশ^কে দেখিয়ে দিয়েছে আমরা বাঙ্গালী জাতি অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারি।
শুরুতে এই পদ্মা সেতু নিয়ে আমাদের দেশের কিছু সুশীল সমাজ বলে ছিলো পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। তাদের সেই কথাকে মিথ্যে প্রমানিত করেছে বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।