দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে সাবেক ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি করে রেছেন।
তিনি গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো প্রয়োজন। অথচ আপনি তাকে যেতে বাধাঁ সৃষ্টি করছেন। যদি আমাদের নেত্রীর কিছু হয় তাহলে এর দায় ভার আপনাকে নিতে হবে।
বুধবার (১৫ জুন) বিকেল সাড়ে ৪ টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি পারভেজ মল্লিকের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন শোখন, সহ-প্রচার সম্পাদক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, মহানগর শ্রমিক দলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মনির মল্লিক, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাকির হোসেন, কাশিপুর ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি শফি উদ্দিন শফি।
এ সময়ে সভাপতির বক্তব্যে জিয়া আরও বলেন, একটি মিথ্যা ও সাজানো হত্যা মামলায় মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এবং ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে আরেকটি সাজানো মামলায় মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমি মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে তাদের নিঃশর্তে মুক্তিদাবি করছি।
এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সরকার আলম, মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ, মহানগর বিএনপি নেতা মাসুদ রানা, নুর আলম, মহানগর হর্কাস শ্রমিক দলের সভাপতি সাজাহান, কাশিপুর ইউনিয় যুবদলের নেতা সিকদার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন,
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কায়ুম, আনোয়ার গাজী, কামাল হোসেন, আলামিন, সাইফুল ইসলাম, সুমন, ওয়াসিম, সোয়াদ চৌধুরী, পরান মিয়া, আবির দেওয়ান, জীবন, আসিক গাজী, তালেব সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে ডিআইটি জামে মসজিদের সামনে গিয়ে শেষ হয়।